Primary Recruitment Scam: দেড় বছর জেলে, শীর্ষ আদালত থেকে খালি হাতে ফিরলেন মানিক

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে মানিক
manik_bhattacharya
manik_bhattacharya

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাময়িক স্বস্তি স্বরূপ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেও ভাগ্য খোলেনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Manik Bandyopadhyay) । কেজরি ফিরেছেন বাড়িতে। কিন্তু দেড় বছরের বেশি জেলবন্দী থেকেও বাড়ি ফেরা হল না প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিনের আবেদন করেছিলেন মানিকবাবু। তার মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত (SC) ।

কলকাতা হাইকোর্টে মেলেনি জামিন (Primary Recruitment Scam)

কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বহুবার দরবার করেও মেলেনি জামিন। অগত্যা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিকবাবু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁকে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল জামিন পেতে গেলে হাইকোর্টেই দরবার করতে হবে। এই মামলায় তাঁর পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যকে আগেই জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মানিক হয়ত আশা করেছিলেন ছেলের মত তাঁকেও হয়ত জামিন দেওয়া হতে পারে। কিন্তু কপাল খুলল না। মানিকবাবুর বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বেশ কিছু নথিও জমা দিয়েছিলেন মানিকবাবুর আইনজীবী। তাঁর দাবি এই নথি গুলি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি। শীর্ষ আদালত মানিক বাবুর আইনজীবীকে নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে বলেছেন। সেখানেই চলবে মামলা (Primary Recruitment Scam)। ইডির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন মামলাটি হাইকোর্টে ফেরানো হলে তাঁদের তরফে কোন আপত্তি নেই।  

আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপির ক্লিন স্যুইপ, ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

২০২২ সাল থেকে জেলে মানিক

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Recruitment Scam) দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেল হেফাজতের আবেদন জানায়। তার পর থেকে জেলেই আছেন মানিক। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশও দিয়েছিলেন। একই মামলায় মানিক বাবুর স্ত্রী ও পুত্রকেও হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। মানিক বাবুর স্ত্রী হাইকোর্টে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সৌভিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পান। কিন্তু মানিক বাবুর আর ভাগ্য খুললো না। আপাতত জেলেই থাকতে হবে প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ৩২৫ জন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় ফেল করলেও তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন মানিক বাবুর নির্দেশে। তাঁদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন মানিকবাবু। এছাড়া আরো ১০ জন পরীক্ষার থেকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এখানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সীমিত নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাথমিক শিক্ষকের ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে ভুয়া সেন্টার চলছিল তাঁর অঙ্গুলিহেলনে এমনটাই অভিযোগ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles