তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাসে শুধুই মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়। কিন্তু তারপরেই ধীরে ধীরে শক্ত খাবার দেওয়া হয়। ভাতের পাশাপাশি যেসব ফল নিয়মিত শিশুকে দেওয়া হয়, তার মধ্যে রয়েছে কলা। অধিকাংশ মায়েরাই শিশুকে নিয়মিত কলা (Banana) খাওয়ান। বিশেষত শিশুর সাত-আট মাস বয়স থেকেই কলা দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মিত কলা খেলে কী হতে পারে? কী বলছেন চিকিৎসকেরা!
শরীরে কী প্রভাব পড়ে? (Banana)
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলা হজমে খুব সাহায্য করে। শিশুরা প্রথম শক্ত খাবার খেতে শিখলে হজমের গোলমাল হতে পারে। অনেক শিশুই হজমের সমস্যায় ভোগে। পেটের সমস্যাও দেখা দেয়। ফলে, এই ছয়-সাত মাস বয়সে কলা খাওয়ালে শিশুদের হজম শক্তি বাড়ে। কলাতে ফাইবার থাকে। তাই হজমে বিশেষ সাহায্য করে। পাশপাশি অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে।
শিশুরা অধিকাংশ সময়েই খুব ছোটাছুটি করে। ফলে তাদের বাড়তি এনার্জি জরুরি। কলায় থাকে ম্যাঙ্গানিজ, বায়োটিন, পটাশিয়াম। এগুলি শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। এছাড়া এনার্জিও জোগান দেয়। নিয়মিত কলা খেলে শিশুদের সহজেই ক্লান্তি দূর হবে। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
কলাতে ভিটামিন এ থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের চোখের জন্য কলা খুব উপকারী। তাই দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে নিয়মিত কলা খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তাছাড়া, কলায় প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে। নিয়মিত কলা (Banana) খেলে শিশুদের হাড় শক্ত হবে।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা (Banana)
শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত শিশুদের কলা খাওয়ালে বুদ্ধির বিকাশ হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কলায় পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ সাহায্য করে। ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
কলায় থাকে আয়রন। তাই হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ও রক্তাল্পতা রুখতে কলা নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেয়েরা রক্তাল্পতায় বেশি ভোগে। যার জেরে পরবর্তী জীবনে নানান সমস্যাও দেখা যায়। তাই ছোট থেকেই নিয়মিত কলা (Banana) খেলে রক্তাল্পতার সমস্যা কমবে।
তাছাড়া কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।
তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, শক্ত খাবার দেওয়া শুরু করলেই নিয়মিত শিশুদের কলা খাওয়ানো উচিত। কলার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই নিয়মিত কলা খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours