মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নাশকতা হতে পারে, এই অশঙ্কায় সক্রিয় হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) পুলিশ। পাক সীমান্ত এলাকায় চলছে একাধিক জায়গায় জঙ্গি-বিরোধী অভিযান। সেই অভিযান চলার সময়, অস্ত্রবোঝাই একটি পাকিস্তানি ড্রোনকে (Pak Drone) গুলি করে নামাল নিরাপত্তা বাহিনী।
কাশ্মীরের (Kashmir) হীরানগর সেক্টরের কাঠুয়ার তাল্লি হারিয়া চক এলাকায় উড়ে আসে ড্রোনটি। দেখামাত্রই সেটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন টহলরত পুলিশকর্মীরা। সেটি ভেঙে পড়তেই ড্রোনটির পে-লোড অর্থাৎ তাতে কী কী বহন করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াডকে ডাকা হয়। তাঁরাই ভেঙে পড়া ড্রোন থেকে সাতটি ম্যাগনেটিক বোমা (Magnetic bomb) এবং সাতটি আন্ডার-ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (UBGL) উদ্ধার করেন।
অমরনাথ যাত্রার আগে সীমান্তে তল্লাশি বৃদ্ধি করেছে পুলিশ ও সেনা। তার জেরেই ওই ড্রেনের সন্ধান মিলল। এমনটাই মনে করছে জেলা প্রশাসন। জম্মু এডিজি জানিয়েছেন, গুলি করার পর ড্রোনটি এসে পড়ে সীমান্তের তাল্লা হারিয়া চক এলাকায়। কাঠুয়ায় এসএসপি আর সি কোতওয়াল সংবাদমাধ্যমে বলেন, রুটিন তল্লাশিতে নেমেছিল রাজাবর পুলিস। তখনই ওই ড্রোনের দেখা মেলে।
গোটা ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের প্রবল আশঙ্কা করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) নাশকতার ছক কষেই বিস্ফোরক আসছিল সীমান্তের ওপার থেকে। আদতে কোন ঠিকানায় সেগুলি আসছিল, তা খতিয়ে দেখতে কাঠুয়ার একটা বড় অংশ জুড়ে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনীও।
অন্য দিকে পুলওয়ামায় অভিযান চলার সময় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে দু’জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তারা স্থানীয় জঙ্গি বলেই পুলিশ জানিয়েছে। তাদের কাছ দু’টি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। ৪৩ দিনের এই যাত্রায় এবার দু'টি রুটের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। পহেলগামের (Pahalgam) চিরাচরিত ৪৮ কিমি রুটের পাশাপাশি গান্দেরবাল (Ganderbal) এলাকার ১৪ কিমির রুট দিয়েও পৌঁছনো যাবে অমরনাথ মন্দিরে। দু'টি রুটেই আগাম কড়া নজরদারি শুরু করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রা শুরুর মাসখানেক আগে কাঠুয়ার ড্রোন-কাণ্ড চিন্তা বাড়াল প্রশাসনের।
+ There are no comments
Add yours