Yakub Memon: ইয়াকুব মেমনের কবর সৌন্দর্যায়ন, তদন্তের নির্দেশ মহারাষ্ট্র সরকারের

এটাই কী তাঁদের দেশপ্রেম...
memon
memon

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই বোমা হামলার দায়ে ফাঁসি হয়েছে ডি কোম্পানির (D Company) অন্যতম মাথা ইয়াকুব মেমনের (Yakub Memon)। পরে কবরস্থ করা হয় দেহ। অভিযোগ, সেই ইয়াকুবের কবরের সৌন্দর্যায়ন (Beautification) করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) উদ্ধব ঠাকরের আমলে। এবার সেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিল মহারাষ্ট্রেরই একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) সরকার।

১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন ২৫৭ জন। ওই ঘটনায় অন্যতম চক্রী ছিল ইয়াকুব। ঘটনার পরে পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে কার্যকর করা হয় তার প্রাণদণ্ডের আদেশ। তার আগে দু দুবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল সে। দুবারই খারিজ হয়ে যায় তার প্রাণভিক্ষার আবেদন। এহেন কুখ্যাত ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। জানা গিয়েছে, এজন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।

দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারেই ঢাকা ছিল ইয়াকুবের কবর। মাস কয়েক আগে কবরস্থান সাজানো হয় এলইডি লাইট দিয়ে। বিজেপির অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের আমলেই করবের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই খুলে ফেলা হয়েছে আলো। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিধায়ক রাম কদম বলেন, উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আমলেই ইয়াকুবের কবর স্থানকে স্মৃতিসৌধে পরিণত করা হয়েছে। এই ইয়াকুব মেমনই পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। তাঁর প্রশ্ন, এটাই কি তাঁদের (ঠাকরে সরকারের) মুম্বইয়ের প্রতি ভালবাসা? এটাই কী তাঁদের দেশপ্রেম? তাঁর দাবি, উদ্ধব ঠাকরের পাশাপাশি রাহুল গান্ধী এবং শরদ পাওয়ারেরও মুম্বইবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন : শিন্ডেতেই 'আস্থা' মহারাষ্ট্রের! শিবসেনার পরিষদীয় নেতাও একনাথ

বিজেপি নেতারা ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়নের কাজ নিয়ে হইচই করতেই পুলিশ দ্রুত এলইডি লাইট খুলে নেয়। ডিসিপি স্তরের অফিসার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, কবর সৌন্দর্যায়নের বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে চিঠি দিয়েছেন শিবসেনা বিধায়করাও।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles