মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারিবারের অভাবকে জয় করে বার বার প্রান্তিক এলাকার মেধাবীরা শীর্ষ তালিকায় বিশেষ জায়গা করে নিচ্ছে। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় তেমনই একটি নাম পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলার গৌরাঙ্গ রুদ্র। বাবার সঙ্গে মুদির দোকান চালাত সে। একই সঙ্গে মাঠে চাষের কাজেও হাত লাগাতে হত তাকে। এতকিছু প্রতিকূলতার মধ্যেও মাধ্যমিকে ৬৭৭ নম্বর পেল নাদনঘাট থানার অন্তর্গত রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র গৌরাঙ্গ।
গৌরাঙ্গ হতে চায় ডাক্তার
মাধ্যমিকে এই নম্বর পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত সে। জানিয়েছে, তার আশা যেমনটা ছিল, ফলাফল ঠিক তেমনই হয়েছে। সে বাড়িতে ১৫ ঘণ্টা করে পড়াশুনা করত। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে বাবার দোকানে সময় দিতে হত। এমনকী প্রয়োজনে জমির (Purba Bardhaman) কাজ করতে যেতে হত। অভাব নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু প্রতিকূলতাকে জয় করে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে সে। গৌরাঙ্গ আগামী দিনে পড়াশুনা করে ডাক্তার হতে চায়। তবে আর্থিক অভাবের কারণে ডাক্তারি পড়া এখন কতটা সম্ভব হয়ে ওঠে, সেটাই দেখার। কারণ পরিবারের সেই রোজগার নেই যে তাকে ডাক্তারি পড়াবে।
পরিবারের আশা কি পূরণ হবে?
গৌরাঙ্গের বাবা বলেছেন, পরীক্ষার ফলাফলে গৌরাঙ্গকে নিয়ে আমি খুবই খুশি। আমার ছেলের জন্য আমি প্রণাম জানাই সকলকে। গুরুজনদের আশীর্বাদ পেয়েছে ছেলে, তাই সকলকে নমস্কার। গৌরাঙ্গের বাবা আরও বলেন, মাস্টারমশাইরা বলেই ছিলেন যে, ছেলের মাধ্যমিকে ৫০ এর মধ্যে র্যাঙ্ক থাকবে। আমি এতটা আশা করিনি, মাধ্যমিকের র্যাঙ্ক ১৫ হবে! গৌরাঙ্গের পড়াশুনায় এতদিন আমার দাদা ও পরিজনরা সাহায্য করছেন। পাশাপাশি স্কুলের (Purba Bardhaman) শিক্ষকরাও সহযোগিতা করেছেন। আগামী দিনে গৌরাঙ্গের উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারের কাছে বিশেষ সাহায্যের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। দুঃস্থ পরিবারের এই আশা কতটা পূরণ হয়, তাই এখন দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours