মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এই ভোট যুদ্ধ। সাত দফার এই লম্বা ভোটপর্ব চলবে ৪ জুন পর্যন্ত৷ ভোট দিলেই হাতে লাগিয়ে দেওয়া হয় কালি, যা আপনার নাগরিকত্বের একটা প্রমাণ। তবে ভোট দেওয়ার সময় হাতের আঙুলে যে কালি লাগানো হয়, তা কে বা কারা তৈরি করেন,জানতে ইচ্ছে করে তো! ১৯৬২ সাল থেকে মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেড (Mysore Paints) অথবা এমপিভিএল এই ভোটের কালি তৈরি করে আসছে৷
এই সংস্থার পরিচয়
ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে ১৯৬২ সালে প্রথমবার এই কালি ভোটারদের আঙুলে লাগানো শুরু হয়৷ যেহেতু এই কালি সহজে মোছে না, তাই একজন ভোটার যাতে দু বার ভোট (Lok Sabha Elections 2024) না দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন৷ সেই সময় থেকেই এই কালি তৈরি করছে মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেড। এটি কর্ণাটক সরকারের অধীনস্ত একটি সংস্থা৷ ১৯৩৭ সালে এই সংস্থা শুরু হয়৷ শুধু ভারত নয়, আরও ২৫টি দেশে এই সংস্থা ভোটের কালি রফতানি করে। এবারও নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৬ লক্ষ ভায়াল (শিশি) কালি তৈরির বরাত পেয়েছে 'দ্য মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেড'৷ এমনিতে এই কালি খোলা বাজারে বিক্রি হয় না। নির্বাচন কমিশন বরাত দিয়ে এই কালি বানায়।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ৩ বিজেপি কর্মীর খুনে অভিযুক্ত শাহজাহান, কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের
কোন ফর্মুলায় তৈরি
কোন ফর্মুলায় এই ভোটের কালি (Lok Sabha Elections 2024) তৈরি করা হয়, তা এমপিভিএল গোপন রাখে৷ ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির সহায়তায় এই ভোটের কালি তৈরি করে এমপিভিএল৷ যাঁরা এই কালি তৈরিতে যুক্ত, তাঁরাও গোটাটা জানেন না। একেক জন এক একেকটি অংশ জানেন। 'সবে মিলে করি কাজ' ফর্মুলায় তৈরি হয় ভোটের কালি। এই কালি ভোটদানের চিহ্নস্বরূপ সাধারণ মানুষের বাঁ-হাতের তর্জনীতে লাগানো হয়৷ এমপিভিএল-এর তৈরি এই বিশেষ কালি এক একটি ছোট শিশিতে ১০ এমএল করে থাকে৷ তা দিয়ে প্রায় ৭০০ জনের আঙুলে কালি লাগানো যায়। ভোটে কালির এই দশ এমএল-এর শিশির দাম ১২৭ টাকা। আগে, কালি কাঁচের শিশিতে সরবরাহ করা হলেও এখন প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয়৷ কালিতে সিলভার নাইট্রেট থাকে, যা ত্বকের সংস্পর্শে এসে কালো হয়ে যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours