Locket Chatterjee: গর্ভবতীদের ইউএসজি-র নামে কী চলছে! সিঙ্গুরে মহিলা চিকিৎসকদের হাতেনাতে ধরলেন লকেট

Singur hospital: "চাকরি বাঁচাতে তো বিবেক বেচতে পারেন না", মন্তব্য বিজেপি প্রার্থীর
WhatsApp_Image_2024-05-05_at_433.05_PM
WhatsApp_Image_2024-05-05_at_433.05_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে সিঙ্গুর হাসপাতাল নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের লোকসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। আর সেই মেশিনেই চলছে গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষা। খোদ হাসপাতালে দাঁড়িয়েই এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই হাসপাতালে পড়ে গেল ব্যাপক শোরগোল।

ঠিক কী ঘটেছিল? (Locket Chatterjee)

রবিবার সকালে আচমকাই সঙ্গে বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছন লকেট। হাসপাতালে পৌঁছেই কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন দিয়ে হাসপাতালে গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষা করানো হচ্ছে। লকেটের অভিযোগ, সাত বছর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। আর সেই মেশিনই এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে সিঙ্গুর ও হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে। রবিবার সকালে সেই নথি হাতে নিয়ে সিঙ্গুর হাসপাতালে (Singur hospital) যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। 

রোগীর আত্মীয়দের সতর্কবার্তা লকেটের (Locket Chatterjee)

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি এবং আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন যে মেয়াদ উত্তীর্ণ, তা নিয়েও সাধারণ মানুষকে সাবধান করেন। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে ওই আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে তা রিন্যুয়ালের জন্য আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি।

লকেটের বক্তব্য 

কর্তব্যরত চিকিৎসকদেরও নথি দেখিয়ে প্রশ্ন করেন লকেট। এক মহিলা চিকিৎসককে লকেট বলেন, “আপনারা এতদিন ধরে যেটা করেছেন, যেটা সহ্য করেছেন, সেটা একজন মহিলা হিসাবে করা উচিত হয়নি। চাকরির জন্য আমরা নিজেদের বিবেক বেচে দিতে পারি না।” লকেটের প্রশ্নের মুখে পড়ে  চিকিৎসক আমতা আমতা করে বলেন, “আমাদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ডিসিশন তো জেলা থেকে হয়।” লকেট (Locket Chatterjee) পাল্টা বলেন, “আপনারা আমাকে কেন জানাননি? হুগলির সাংসদকে জানানোর প্রয়োজন ছিল।” এমনকি মেয়াদ উত্তীর্ণ আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন নিয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলেও জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
এ প্রসঙ্গে এক কর্তব্যরত চিকিৎসক অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “প্রেগন্যান্সিতে তো অনেক রকম ক্লিনিক্যাল সায়েন্সে অনেক কিছু বোঝা যায়। আমাদের রিপোর্ট দেখে কোথাও কোনও খটকা লাগত, আমরা বাইরে থেকে আরও একবার ইউএসজি (USG) করিয়ে আনতে বলতাম। আমাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না, এই মেশিন ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের কিছু রিপোর্ট দেখে সমস্যা মনে হচ্ছিল, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই।”

আরও পড়ুন: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য  

অন্যদিকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি সংস্থা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে এই পরিষেবা দেয়। নিদির্ষ্ট সময় অন্তর তার লাইসেন্স রিনিউ করতে হয়। এক্ষেত্রে সংস্থাটির লাইসেন্স আছে কি না তা খতিয়ে দেখে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মেশিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ বলে কিছু হয় না। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles