Bankura: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের খিচুড়িতে মিলল টিকটিকি

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের স্কুলের খাবারে মধ্যে টিকটিকি, অসুস্থ অনেক শিশু
Bankura
Bankura

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে থেকে দেওয়া খিচুড়িতে মিলল টিকটিকি। আর সেই খিচুড়ি খেয়ে বেশ কিছু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকায়। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের হাটগ্রাম উপরপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা।

কী ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে?

প্রতিদিনের মতন সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি নিয়ে বাড়িতে ফেরে শিশুরা। খিচুড়ি খাওয়ার পর কয়েকজন শিশু বমি করতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাড়ায় পরপর শিশুদের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলতেই অভিভাবকরা ছুটে গিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি (Bankura) কেন্দ্রে পৌঁছান। ছাত্রদের অসুস্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে অভিভাবকেরা খিচুড়ির মধ্যে টিকটিকি খুঁজে পাওয়ার ঘটনা দেখতে পান। আর তারপরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য শুরু হয় এলাকায়। 

অসুস্থ শিশুদের নিয়ে যাওয়া হল Bankura মেডিকেল কলেজে

খাবার খেয়ে অসুস্থ শিশুর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকলে, তড়িঘড়ি করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বাঁকুড়া (Bankura) সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকেরা। সেই মতো বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রায় ১৯ জন শিশুকে নিয়ে আসা হয়।

অভিভাবকেদের প্রতিক্রিয়া

এক অসুস্থ শিশুর বাবা নিমাই ভদ্র বলেন, যে শিশুদের বাঁকুড়া মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই বমি করছে। কারও কারও পেটে ব্যথাও রয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অঙ্গনওয়াড়ি (Bankura) কেন্দ্রের রাঁধুনিদের গাফিলতির জন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটল। তাঁরা যদি সতর্ক হয়ে রান্না করতেন, তাহলে এই বিপদ হতো না। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সব শিশুরা যতক্ষণ না সুস্থ ও স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই নেই। এদিকে, এই ঘটনায় গ্রামেও ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। পড়ুয়াদের অভিভাবক থেকে গ্রামবাসী সকলেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রাঁধুনিদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি শুধু ইন্দপুর নয়, সারা জেলার এই কেন্দ্রগুলিতে রান্নার ক্ষেত্রে ফুড সেফটি নর্মস কড়া ভাবে মেনে চলার প্রশাসনিক নির্দেশ জারিরও দাবি জোরালো হচ্ছে। এখন দেখার, এই ঘটনার পর আদৌ প্রশাসনের টনক নড়ে কিনা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles