মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় গ্রেফতার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের (Lawrence Bishnois) ভাই আনমোল বিষ্ণোই ওরফে ভানু। কিছুদিন আগে এনআইএ তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১০ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই আনমোলকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল মুম্বই পুলিশ। এরই মধ্যে তাঁর গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল? (Lawrence Bishnois)
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চলতি মাসের শুরুতেই আমেরিকায় (America) লরেন্সের (Lawrence Bishnois) ভাইয়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সূত্রের খবর, ক্যালিফোর্নিয়ায় তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুন এবং বলিউড তারকা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বিষ্ণোই গ্যাংয়ের। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই ঘটনাই ঘটেছিল আনমোলের নির্দেশে। তিনিই বিদেশে বসে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার পরই পরিকল্পনা হয়েছিল সলমন-ঘনিষ্ঠদের খুন করার। সেই তালিকায় প্রথম নামই ছিল এনসিপি নেতা সিদ্দিকির। সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনা-সহ মোট ১৮টি মামলায় অভিযোগ রয়েছে আনমোলের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের মে মাসে পঞ্জাবি সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালার হত্যায়ও তাঁর যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। মুসেওয়ালার ওপর হামলায় যাঁরা অভিযুক্ত তাঁদের অস্ত্রের জোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে লরেন্সের ভাইয়ের বিরুদ্ধে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকায় নাম রয়েছে আনমোলের।
আরও পড়ুন: ব্যাট হাতে প্রস্তুত শীত! কলকাতায় ১৮ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ১২, কী বলছে হাওয়া অফিস?
লরেন্সের অপরাধ জগৎ দেখতেন আনমোল!
বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনার তদন্তে উঠে আসে আনমোলের নাম। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ঘটনায় যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে বিদেশ থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আনমোল। 'স্ন্যাপচ্যাটে' তার প্রমাণও মিলেছে। সূত্রের খবর, ভাড়া করা আততায়ীদের সিদ্দিকি ও তাঁর পুত্র জিশানের ছবিও পাঠিয়েছিলেন আনমোল। প্রসঙ্গত, লরেন্স (Lawrence Bishnois) ২০১৫ সাল থেকে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দি রয়েছেন। তাঁর হয়ে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম আনমোলই পরিচালনা করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে দেশে ফেরানোর অনুমতি চেয়ে গত মাসেই মুম্বইয়ের এক নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনার কথাও আদালতে উল্লেখ করেছিল পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্ত শুরুর পর থেকে আনমোলের কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। তাঁকে পলাতক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সম্প্রতি আমেরিকা থেকে এ বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য এসেছিল মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাতে। তার পর তদন্তকারীরা তাঁকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours