মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন (Law for population control) আনবে কেন্দ্র। এমনই ইঙ্গিত দিলেন মোদি সরকারের দুই মন্ত্রী।
এদিন রায়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে গরিব কল্যাণ সম্মেলনে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল (Prahlad singh patel)। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করবে মোদি সরকার। তিনি বলেন, চিন্তা করবেন না, শীঘ্রই আইন আনা হবে। অন্য বড় সিদ্ধান্তগুলি যখন নেওয়া হয়েছে, তখন এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সেবা, সুশাসন এবং দরিদ্রদের কল্যাণ কেন্দ্রীয় সরকারের মূল মন্ত্র।
আরও পড়ুন : জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?
এদিন ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ শানান পটেল। কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার অধিকাংশ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। উদাহরণ দিয়ে প্যাটেল বলেন, জল জীবন মিশনে রাজ্যে ২৩ শতাংশ কাজ হয়েছে। সেখানে জাতীয় পর্যায়ে ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এই রাজ্যে জলের উৎসের অভাব নেই। কিন্তু প্রকল্পের সঠিক দেখভাল হচ্ছে না বলেই লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে না।
শুধু প্যাটেল নন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রনয়ণ করার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন মোদি মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য যুগল ঠাকুর। তিনি এও জানিয়ে দেন, সম্ভবত সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই বিল। এদিন প্যাটেল জানিয়ে দিলেন, শীঘ্রই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল আনবে কেন্দ্র। তাঁর মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা বিপরীতভাবে সমানুপাতিক।
আরও পড়ুন : 'পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে
ক’দিন আগেই মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) অবিলম্বে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পরে এ ব্যাপারে সরব হন মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে। তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার অনুরোধও জানান।
পুণের একটি জনসভায় রাজ বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনুন। এই সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনও আনা হোক। ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলের দাবিও তুলেছে মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান। বলেন, ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলে হোক শম্ভাজিনগর।
+ There are no comments
Add yours