মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনে সারা দেশ মেতে উঠেছে। মন্দিরে মন্দিরে চলছে পুজো। এই আবহের মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে শুধু মন্দিরগুলিতে পুজো হচ্ছে এমন নয়, এই দিনটিকে স্মরণে রাখতে সোমবার সন্ধ্যায় মসজিদ এবং গির্জায় জ্বালানো হবে মোমবাতি এবং প্রদীপ। এমনটাই জানালেন নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি-২ নম্বর পঞ্চায়েতের পাঁচপোতা পূর্বপাড়া জামে মসজিদ কমিটির অন্যতম সদস্য আশরাফ শেখ এবং শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি-১ নম্বর পঞ্চায়েতের চাদরা ক্যাথলিক চার্চ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জোসেফ মণ্ডল। আজকের দিনটিকে সনাতনী হিন্দু ধর্মের অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন বলে মনে করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে, সনাতনী হিন্দু ধর্মের পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরাও যে একইভাবে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত তা বলাই বাহুল্য।
গীর্জা ও মসজিদে জ্বালানো হবে প্রদীপ-মোমবাতি (Ram Mandir)
সোমবার সকাল থেকেই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দিকে নজর ছিল সকলের। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বিশেষ এই দিনটিকে স্মরণে রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন শান্তিপুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এদিন সন্ধ্যায় গির্জা এবং মসজিদে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালানো হবে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু হিন্দু ধর্মের মানুষেরাই নয়, সংখ্যালঘু সকল সম্প্রদায়ের মানুষেরাই তাতে খুশি। আর সেই কারণেই মন্দিরের পাশাপাশি শান্তিপুরের এই জামে মসজিদ এবং ক্যাথলিক চার্চেও জ্বলে উঠবে প্রদীপ এবং মোমবাতি। ক্যাথলিক চার্চের দায়িত্বে থাকা জোসেফ মণ্ডল বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে অক্ষত প্রসাদ বিতরণ করেছি। সকলকেই প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালানোর জন্য বলেছি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরাও এই দিনটিকে স্মরণ রাখতে প্রদীপ জ্বালাবে। আর গির্জাও সাজানো হয়েছে।
জামে মসজিদ কমিটির সদস্য কী বললেন?
জামে মসজিদ কমিটির সদস্য আশরাফ শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমস্ত জাতিকেই শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন। আর তাতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মসজিদ পরিষ্কার করেছি। সকলে উদ্যোগী হয়ে এই কাজ করছেন। আমরা এদিন সকাল থেকে সমস্ত রকম প্রস্তুত গ্রহণ করেছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours