Future CJ Pardiwala: মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী, রায়ে মানবিক স্পর্শ, জানুন দেশের ভাবী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য 

JB Pardiwala: ১১ বছর আগে বিচারক হন পারদিওয়ালা। কয়েকজন প্রবীণ বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে প্রতিযোগীতায় হারিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের এই পদে আসীন হয়েছেন। 
J_B_Pardiwala
J_B_Pardiwala

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি পদে শপথ নিলেন জামশেদ বুরজোর পারদিওয়ালা। ২০২৮ সালের মে মাসে তিনি হবেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি (Chief Justice)। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু’বছর তিন মাস। মান্না দের ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী এই বিচারক কোনও দম্পতির মধ্যে অশান্তি মেটাতে নিজের বাইরে গিয়েও চেষ্টা করেন। তাঁর প্রতিটি রায়ে দেন ‘মানবিকতার স্পর্শ’।  

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা (J B Pardiwala) ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা এই দুই বিচারপতিকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। 

এর আগে গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন বিচারক জামশেদ বুরজোর পারদিওয়ালা। নতুন দুই বিচারপতি শপথ নেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের মোট বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হল ৩৪। তবে, তা ১০ মে পর্যন্ত। ১০ মে অবসর নেওয়ার কথা বিচারপতি বিনীত সরনের। বিচারপতি ধুলিয়া, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট থেকে পদোন্নতি হওয়া দ্বিতীয় বিচারপতি। অপরদিকে, বিচারপতি পারদিওয়ালা চতুর্থ পার্সি যিনি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে উন্নীত হলেন।   

১১ বছর আগে বিচারক হন পারদিওয়ালা। কয়েকজন প্রবীণ বিচারপতি ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে প্রতিযোগীতায় হারিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের এই পদে আসীন হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ ৩০ মাস ৩৪ জন বিচারপতির পদ শূন্য ছিল। সম্প্রতি ওই পদগুলি পূরণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নতুন বিচারপতিদের নাম সুপারিশ করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রক তা অনুমোদন করে। 

গত ১১ বছর উচ্চ আদালতে বিচারপতি থাকাকালীন পারদিওয়ালার বিভিন্ন রায় সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে। কোভিড অতিমহামারীর সময় একাধিকবার তিনি সরকারকে তিরস্কার করেছেন। ওই সময় তিনি পুরীতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার অনুমতি দেননি। একটি রায়ে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। সেজন্য তাঁকে ইমপিচ করার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছিল।   

বিচারপতি পারদিওয়ালার ডাক নাম জাপু। গুজরাতের দক্ষিণে এক পার্সি পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। তাঁর দাদু কাওয়াসজি নভরোজ পারদিওয়ালা, ১৯২৯ সালে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ১৯৫৮ সাল অবধি আইনের পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জামশেদ পারদিওয়ালার বাবা  বুরজোর কাওয়াসজি পারদিওয়ালা ওকালতির পাশাপাশি রাজনীতিও করেছেন। তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গুজরাত বিধানসভার স্পিকার ছিলেন।

জামশেদ পারদিওয়ালা ১৯৮৮ সাল থেকে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ২০১১ সালে তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। ২০১৩ সালে তাঁকে ওই পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু জাল উনওয়ালা জানিয়েছেন, একসময় ভাল টেনিস খেলতেন পারদিওয়ালা। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। অদৃষ্টও মেনে চলেন। 

পারদিওয়ালা তরুণ আইনজীবীদের কাছে একজন অত্যন্ত পছন্দের বিচারপতি। তাঁরা বলেন, পারদিওয়ালার ভাষার ওপরে তাঁর যথেষ্ট দখল আছে। সর্বোপরি তিনি প্রতিটি রায়ে মানবিক স্পর্শ দেন। এক প্রবীণ অ্যাডভোকেট বলেন, বিচারপতি পারদিওয়ালা যদি দেখেন এমন কোনও দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছে যাঁদের সন্তান আছে, তাঁদের তিনি নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান। দু’জনের কাছে আবেদন করেন, সন্তানের কথা ভেবে আপনারা বিচ্ছিন্ন হবেন না। এমনকি বৈবাহিক ধর্ষনেরও বিরোধীতা করেন এই 'মানবিক' বিচারপতি। 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles