মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের বক্স বাজানো নিয়ে বচসা, তার জেরেই খুন (Murder) হতে হলে তরতাজা যুবককে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সাহেব আলি (২২)। এই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে চিংড়িঘাটা এলাকা। স্থানীয়রা দফায় দফায় অবরোধ করেন। ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত বিট্টু সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ মৃত সাহেব আলিকে গলায়, ঘাড়ে, পেটে, কাঁচি ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপরে সাহেব আলিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Murder) বলে ঘোষণা করেন।
বিপাকে পড়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন মন্ত্রী সুজিত বসু
এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা চিংড়িঘাটা এলাকা। রবিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা চিংড়িঘাটা এলাকা। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষজন। নিজের বিধানসভাকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় কার্যত বিপাকে পড়েন মন্ত্রী সুজিত বসুও। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে দেখা যায় তাঁকে। স্থানীয়দের সঙ্গে সুর মেলাতেও দেখা যায় মন্ত্রীকে। প্রকাশ্যেই মন্ত্রী ঘোষণা করেন, দোষীর শাস্তি হবে।
মূল অভিযুক্ত বিট্টু সর্দারকে আটক করেছে পুলিশ
এই ঘটনায় স্থানীয়রা জানান যে মূল অভিযুক্ত বিট্টু সর্দার, এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী (Murder) বলেই পরিচিত। এর আগেও একাধিক দুষ্কৃতীমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার যোগ থাকার প্রমাণও মিলেছে। বার কয়েক জেলও খেটেছে সে। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয় সে। জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে বিট্টুর খোঁজ চালাতে থাকে পুলিশ। বিট্টুর বাড়িতেও চড়াও হয় স্থানীয় মানুষজন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিট্টুর স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর পরেই বিট্টুকে একটি ট্যাক্সির ভিতরে আবিষ্কার করে স্থানীয়রা। উপস্থিত জনতা বিট্টুর ওপর চড়াও হয়। হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাই দিয়েই মারধর চলতে থাকে বিট্টুকে (Murder)। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘এর আগেও বিট্টুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি জেল খেটেছেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। শনিবার রাতের ঘটনা স্বতন্ত্র। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours