মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ টাউনে রেস্তোরাঁ মালিকের খাটের নিচে স্যুটকেস থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রের মৃতদেহ (New Town Murder)। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, সেলোটেপ দিয়ে আটকানো ছিল মুখ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল এবং সেই টাকা না মেলায় খুন করা হয়েছে। ওই রেস্তোরাঁ মালিকের বাড়িতেই ভাড়ায় থাকতেন ওই ছাত্র।
মৃত ছাত্রের পরিচয় (New Town Murder)
এই মৃত ছাত্রের নাম সাজিদ হোসেন। মূলত ডাক্তারি পরীক্ষা এনআইআইটির (নিট) কোচিং নেওয়ার জন্য নিউ টাউনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। মহিষবাথান বক্স ব্রিজের কাছে থাকতেন এই ছাত্র। মালদার কালিয়াচকে তাঁর বাড়ি। মৃত্যুর পর পরিবারে তীব্র শোকের ছায়া।
কীভবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল?
সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এরপর সহপাঠীরা তাঁর নিখোঁজের কথা বাড়িতে জানান। নিউ টাউনে মূলত ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির পড়াশুনা করছিলেন ওই ছাত্র। ৫ তারিখে নিউ টাউন থানায় মিসিং ডায়েরি করে পরিবার। সূত্রে আরও জানা গেছে, সাজিদের মুখে সেলোটেপ লাগানো এবং হাত-পা বাঁধা একটি ছবি পরিবারকে পাঠানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে মুক্তিপণ বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। পাঠানোর পরে আবার অপহরণকারীরা সেই ছবি ডিলিট করে দেয়। এরপর আজ ভোররাতে উদ্ধার হয় সাজিদের দেহ (New Town Murder)। এই ছাত্রের পরিবার মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাতো। আর এই খবর পেয়ে দুষ্কৃতীরা মনে করে, পরিবারের কাছে প্রচুর টাকা রয়েছে। এরপর পরিকল্পনা করে খুন করা হয় বলে অনুমান। এই ঘটনায় পুলিশ গৌতম নামে এক যুবকের সঙ্গে আরও চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
পরিবারের বক্তব্য
শুক্রবার এই ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এল কালিয়াচকের ১৬ মাইল গুরুটোলা এলাকায়। মৃত সাজিদ হোসেনের (New Town Murder) বয়স ১৯ বছর। বাবার নাম মোক্তার হোসেন। বাবা মোক্তার হোসেন বলেন, “সাজিদ নিউ টাউনের তারুলিয়া সেকেন্ড লেন এলাকার গৌতম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থেকে নিটের কোচিং নিচ্ছিল। তার ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু চলতি মাসের ৪ তারিখে সে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে বুঝতে পারি ওর বন্ধুরা মিলে যোগসাজশ করে অপহরণ করেছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু এর মধ্যেই অপহরণকারীরা তাকে খুন করে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours