মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে আতঙ্কে রয়েছেন এক হোটেল ব্যবসায়ী। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ওই হোটেল ব্যবসায়ীকে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা শুকুর আলির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) বিধানসভার রহড়া থানার বন্দিপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষ নামে ওই হোটেল ব্যবসায়ী তৃণমূল নেতা শুকুর আলির নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)
খড়দার (Khardah) বন্দিপুর এলাকায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সন্দীপ ঘোষের একটি হোটেল রয়েছে। হোটেলের পাশে তাঁদের পৈত্রিক জমি রয়েছে। অন্যান্য শরিকের সঙ্গে সেই জমি এখনও ভাগ হয়নি। অভিযোগ, সন্দীপবাবুর এক শরিক সেই জমি ওই তৃণমূল নেতাকে বিক্রি করে দেন। আর সেই জমি বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত। কারণ, জমি এখনও ভাগই হয়নি। ফলে, ওই জমির কে কোন দিক নেবে তা এখনো ঠিক হয়নি। কী করে সেই জমি কাউকে না জানিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হল তা নিয়ে হোটেল ব্যবসায়ীর শরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আর শুকুর আলি জমি কেনার পরেই সামনের রাস্তার দিকে জায়গায় দখল করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। আর সেটা নিয়েই হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঝামেলা।
হোটেল ব্যবসায়ীর কী বক্তব্য?
হোটেল ব্যবসায়ী সন্দীপ ঘোষ বলেন, শুকুর আলি তার স্ত্রীর নামেই এই জমি কিনেছেন। আমরা তাঁর কাছে সমাধানের জন্য গিয়েছিলাম। আমরা পারিবারিকের সমস্যার বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তিনি সমস্যার সমাধান না করে, উল্টে তিনি আমাদের জমি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরমধ্যেই ওই তৃণমূল নেতার বেশ কয়েকজন অনুগামী জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে যায়। না হলে পরিস্থিতি ভাল হবে না বলে হুমকি দিয়ে যায়। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। এখনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। খড়দার (Khardah) বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি দরবার করেছি। তিনি সমস্ত রকমভাবে সাহায্য করেছেন। কিন্তু, এই তৃণমূল নেতার দাদাগিরি বন্ধ হয়নি। ফলে, চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী বললেন?
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শুকুর আলি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই ব্যক্তি মনগড়া কথা বলছেন। পুলিশি তদন্তে সঠিক বিষয় উঠে আসবে। জমি থেকে কাউকে উচ্ছেদ করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours