মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express Accident) কারণ নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রে খবর, সোমবার ভোর থেকেই রাঙাপানি এবং চটের হাট অংশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা বিকল। সেকারনেই ওই অংশে ট্রেন চলাচল হচ্ছিল কাগুজে সিগন্যালে। রেলের ভাষায় যাকে বলে পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট। রেলকর্মীদের একাংশের মতে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া মালগাড়ির চালক সিগন্যাল মানেননি। যার ফলেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।
দুই গাড়ির চালকের কাছে ছিল ‘কাগুজে অনুমতি’
আগেই জানা গিয়েছিল যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে (Kanchanjunga Express Accident) ‘টিএ ৯১২’ অর্থাৎ ম্যানুয়াল মেমো দেওয়া হয়েছিল। তবে রেল সূত্রে খবর, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের মতোই মালগাড়ির চালককেও ‘টিএ ৯১২’ কাগজ দেওয়া হয়েছিল। তাতেই উল্লেখ ছিল, কোন কোন সিগন্যাল ভেঙে গাড়ি চালাতে পারবেন চালক। কোথা থেকে কতটা অবধি এই ছাড়পত্র কার্যকর থাকবে, তারও উল্লেখ ছিল। মালগাড়ির দুই চালক ও গার্ডের কাছেও ছিল সেই ছাড়পত্র। সেই ছাড়পত্রে রাঙাপানি থেকে চটের হাট পর্যন্ত মোট ৯টি লাল সিগন্যাল ভাঙার অনুমতি ছিল মালগাড়ির চালকের কাছে।
আরও পড়ুন: অভাবনীয় অঘটন! স্লোভাকিয়ার কাছে ০-১ ব্যবধানে হার বেলজিয়ামের
দুর্ঘটনার পিছনে উঠে আসছে রেলের চূড়ান্ত গাফিলতির ছবি
জানা গিয়েছে, যে মালগাড়িটি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা (Kanchanjunga Express Accident) মারে, সেই মালগাড়িটি মোট ৪টি সিগনাল ফেল করেছে। যার মধ্যে দুটি ছিল রেড সিগন্যাল। অন্যদিকে রাঙাপানি স্টেশন থেকে পেপার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে। সেই অনুযায়ী কাঞ্চনজঙ্ঘা রাঙাপানি স্টেশন থেকে ছেড়ে জলপাইগুড়ি স্টেশনের দিকে এগোচ্ছিল। আর তখনই সিগন্যাল ভেঙে চলা মালগাড়ির সঙ্গে ঘটে দুর্ঘটনা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি দোষ ছিল তাঁর? যদি মালগাড়ির চালকের কাছে কাগুজে অনুমতি থাকে তবে গলদ কোথায় ছিল?
এই দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা (Kanchanjunga Express Accident) মারে মালগাড়িটি। মালগাড়ির ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছন দিকের ২টি পারসেল কামরা ও একটি যাত্রীবাহী কামরা (গার্ড কোচ) লাইনচ্যুত হয়ে যায়। একটি কামরা সোজা মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায়। কিন্তু দুটি ট্রেনের কাছেই যদি কাগজে লেখা অনুমতি থাকে, এবং তারা তা মেনেই চালিয়ে থাকেন, তাহলে এই দায় কার? রয়ে যাচ্ছে ধোঁয়াশা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours