মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতোই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্যাণ চৌবে। ৩৩-১ ভোটের ব্যবধানে তিনি হারালেন বাইচুং ভুটিয়াকে। দুই প্রাক্তন ফুটবলারের লড়াই যে একপেশে হতে চলেছে, তা বোঝাই যাচ্ছিল। কারণ, রাজ্য ফুটবল সংস্থার অধিকাংশ প্রতিনিধি আগেভাগেই কল্যাণ চৌবেকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পরাজয় নিশ্চিত জেনেও পিছিয়ে আসেননি বাইচুং। বরং তিনি ভেবেছিলেন, আইকন ইমেজকে কাজে লাগিয়ে মাঠের মতোই ফুটবল রাজনীতিতে বড় চমক দেবেন। কিন্তু সেটা হল না।
মজার ব্যাপার হল, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিও বাইচুংকে ভোট দেননি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে তাঁর নিজের রাজ্য সংস্থা সিকিমই সমর্থন করেনি। তিনি লড়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল সংস্থার হয়ে। সমর্থন করেছিল রাজস্থান ফুটবল সংস্থা। সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন এন এ হ্যারিস। ২৯-৫ ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাস্ত করেছেন মানবেন্দ্র সিংকে। আর কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন অজয় কিপা। তিনি ৩২-১ ভোটে কোসারাজু গোপালাকৃষ্ণাকে হারিয়েছেন।
Congratulations to Shri @kalyanchaubey ji on being elected as President of the All India Football Federation (AIFF). His love for football and public service is well known. I am sure he will make an excellent choice. Wishing him best.
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) September 2, 2022
এআইএফএফ-এর ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রাক্তন ফুটবলার সভাপতি পদে বসতে চলেছেন। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির পর আবার এআইএফএফ-এর শীর্ষপদে এক বাঙালিকে দেখা যেতে চলেছে। কল্যাণ চৌবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
Heartiest congratulations to Shri Kalyan Chaubey for being elected as President of the All India Football Federation (AIFF). He's the 1st former player to do so. It's also special that he's from Bengal.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 2, 2022
I believe under Kalyan's leadership Indian Football would scale new heights.
গত শতাব্দীর শেষের দশকে ভারতীয় ফুটবলে খ্যাতনামা ছিলেন কল্যাণ চৌবে। ১৯৯৫-এ টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হন তিনি। তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসে শুরু করেন পেশাদার পর্যায়ে ফুটবল খেলা। গোলকিপার হিসাবে ধীরে ধীরে খ্যাতি পেতে শুরু করেন। ১৯৯৭-৯৮ এবং ২০০১-০২ সালে ‘ভারতের সেরা গোলকিপারের’ পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন: সূর্যের তেজকে কুর্নিশ কোহলির! দুবাইয়ের বাইশগজে ছক্কার বন্যা
ফুটবল ছাড়ার পর প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেন কল্যাণ। তিনি গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে হেরেছিলেন। এআইএফএফ-এর নির্বাচনে কল্যাণ দাঁড়িয়েছিলেন গুজরাত রাজ্য সংস্থার হয়ে, যে রাজ্যের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কল্যাণ নিজেও বঙ্গ বিজেপির সক্রিয় সদস্য। ফলে রাজনৈতিক ভাবে সমস্ত সমর্থন ছিল তাঁর দিকেই।
+ There are no comments
Add yours