Kali Puja 2024: সেবক পাহাড় কেটে তৈরি হয়েছে মন্দির! কালীপুজোয় ভেসে যায় আলোর ঝর্নাধারায়

Sevokeshwari Kali Temple: শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক, কালিম্পং বা ডুয়ার্স যাওয়ার পথে থেমে যায় সব গাড়ি! সেভকেশ্বরী মন্দিরের দক্ষিণাকালী জাগ্রত বলেই প্রচলিত!
Siliguri_kali
Siliguri_kali

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় কেটে তিনশো ফুট উঁচুতে তৈরি হয়েছে মায়ের মন্দির। এখানে রয়েছে দক্ষিণাকালীর মুর্তি। সেবক পাহাড়ে মন্দিরটি হওয়ায় এর নাম সেভকেশ্বরী কালীমন্দির। মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য সেবক পাহাড়ে ১০৭টি সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হবে। কালীপুজোর দিন ভক্তদের ঢল নামে এই কালীমন্দিরে (Kali Puja 2024)। শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকাই নয়, কলকাতা, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ থেকেও বহু মানুষ কালীপুজোর দিন এখানে আসেন, রাত জেগে পুজো দেন ও দেখেন। ভোর হতে প্রসাদ নিয়ে ফিরে যান।

কোথায় এই মন্দির? (Kali Puja 2024)

শিলিগুড়ি শহর থেকে ২০ কিমি দূরে এই মন্দির। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক, কালিম্পং বা ডুয়ার্স যাওয়ার পথে সেবক পাহাড়ে ওঠার মুখে রাস্তার বাঁ-দিকে সেভকেশ্বরী কালীমন্দির। স্বপ্নে পাওয়া এই মন্দির জাগ্রত বলে প্রচলিত। কথিত আছে, এখানে মানত করে সকলেরই মনোবাসনা পূর্ণ হয়। তাই সারা বছরই সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে অনেক গাড়ি থামে। মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে যাত্রা করেন সকলে। আবার কিছু গাড়ি না থামলেও মন্দিরের সামনে এসে গতি মন্থর করে। যাত্রী ও গাড়ির ড্রাইভার নীচ থেকেই মা'কে প্রণাম করে যান।

সেভকেশ্বরী মন্দির তৈরির কাহিনি

এখানকার অন্যতম পুরোহিত নন্দকিশোর গোস্বামী বলেন, সেবকে রাজ্য সরকারের একটি অফিসের কর্মী ছিলেন মাতৃসাধক দীনেন্দ্রনাথ সান্যাল। তিনি স্বপ্নে দেখেন, সেবক পাহাড়ের জঙ্গলে ঢাকা পড়ে রয়েছে পঞ্চমুন্ডির আসন ও ত্রিশূল (Kali Puja 2024)। সেই মতো জঙ্গল কেটে সেই আসন বের করে সেবক পাহাড়ে তিনি কয়েক জনের সহযোগিতায় ১৯৫২ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরের সামনে সেই পঞ্চমুন্ডির আসন ও ত্রিশূল রাখা আছে। তারপর ভক্ত সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভক্তদের সহযোগিতায় ১৬ বছর আগে পুরো মন্দির ও সিঁড়ি পাকা করা হয়।

কালীপুজোর রাতে পাহাড়ে নামে আলোর ঝর্নাধারা (Kali Puja 2024)

নিত্যপুজোর পাশাপাশি প্রতি অমাবস্যায় এখানে বড় করে মায়ের পুজো হয়। কালীপুজোর দিন ধুমধাম করে পুজো হয়। ভক্তদের মানসিক পুজোর ডালায় ভরে যায়। এখনও একই রকম ধুমধাম করে পুজো হয়। গোটা এলাকা ভেসে যায় আলোর ঝর্নাধারায়। তবে গত বছর থেকে এখানে পশুবলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুরোহিত (Sevokeshwari Kali Temple) নন্দকিশোর গোস্বামী বলেন, গত বছর থেকে শুধু ফল ও সবজি বলি দেওয়া হয়। ভক্তরা কেউ পশু বলি মানত করে থাকলে আমরা তা মা'কে উৎসর্গ করে ছেড়ে দেই।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles