মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্য পুলিশের অপদার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিষ্ণুপুর গনধর্ষণ (Bishnupur Gang Rape) মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর ১০ দিন কেটে গেছে। কিন্তু এখনও গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তদের। নেওয়া হয়নি নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি। কেন এই কাজগুলিতে এত দেরি করা হচ্ছে রাজ্য পুলিশকে সেই প্রশ্নই করেন বিচারপতি। পুলিশ কোনও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। এরপরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ৩টের মধ্যেই গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে পুলিশকে।
পুলিশের ভূমিকায় যন্ত্রণা পাচ্ছে আদালত (Bishnupur Gang Rape)?
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার বাঁকরাহাট আউটপোস্টে এক মহিলা গণধর্ষণের (Bishnupur Gang Rape) অভিযোগ জানান। কিন্তু সেদিন তাঁর কোনও কথা শোনা হয়নি বলে পরবর্তীতে অভিযোগ জানায় ওই মহিলার পরিবার। এরপর এই ঘটনা হাইকোর্টে পৌঁছয়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। কেন ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ নেওয়া হল না, পুলিশকে সেই প্রশ্ন করেন বিচারপতি মান্থা।
পুলিশের তরফে উত্তরে বলা হয়, সেদিন বাঁকরা আউটপোস্টে কোনও লেডি কনস্টেবল ছিল না। তাই এফআইআর নেওয়া যায়নি। যা শুনে বিচারপতি বলেন, "৩৭৬ ধারায় অভিযোগ। কিন্তু কোনও লেডি কনস্টেবল নেই? এর অর্থ কী? ১০ দিন হয়ে গেছে এখনও লেডি কনস্টেবল নেই।"
তারপরই বিচারপতি পুলিশকে ধমকে বলেন, "এটা কী চলছে? আপনারা পুরো সিস্টেমকে ভেঙে দিচ্ছেন।" বিচারপতি জানতে চান, ১০ দিন কেটে গেলেও নির্যাতিতার পরনের পোশাক বা মোবাইল কিছুই বাজেয়াপ্ত করা হয়নি কেন?
বিচারপতি আরও বলেন, "পুলিশের এমন গা ছাড়া ব্যবহার দেখে যন্ত্রণা পাচ্ছে কোর্ট। এতদিনে কেন কোনও গ্রেফতার নেই?" এদিকে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারকে বিষ্ণুপুর থানা ও বাঁকরাহাট আউট পোস্টের এবং ঘটনাক্রম খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: 'রাজ্য সরকার ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করতে কেন্দ্রকে প্ররোচনা দিচ্ছে', দাবি সুকান্তর
বিচারপতি আরও বলেন, "নির্যাতিতাকে এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগামী শুনানির আগে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার (Bishnupur Gang Rape) করতে হবে। এছাড়াও তদন্তে আইওকে সাহায্য করার জন্য একজন সিনিয়র অফিসারকে নিয়োগ করতে হবে।" আজ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্যাতিতার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেন বিচারপতি মান্থা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours