মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রার্থীর চেক লিস্টে কারচুপি? বিকৃত করা হয়েছে নির্বাচনের নথি? বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, 'এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যেসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের হাতে তদন্তভার দেওয়া সমীচীন হবে না'।
কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ
উলুবেড়িয়া-২ ব্লকে কাশ্মীরা বিবি ও ওমজা বিবি নামের দু’জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, স্ক্রুটিনিতে তাঁদের ফর্ম বাতিল করে দেওয়া হয়। এই দুই প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁরা যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তা বিকৃত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। আদালতের নির্দেশ,আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ঠিক তার আগের দিন তদন্ত রিপোর্ট চাইল আদালত।
বিরোধীদের দাবি
এই রায় প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'গোটা ব্যবস্থাকেই ঘেটে ফেলেছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনারকে সামনে রেখে, তৃণমূল রাজ্যে চরম নৈরাজ্য, অবাধ সন্ত্রাস এবং প্রাতিষ্ঠানিক লুঠের ব্যবস্থা করেছে।এক হাজারের কাছাকাছি মনোনয়নপত্র আমাদের বাতিল হয়ে গিয়েছে। বিডিওরা প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন। নথি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এটা চরম দুর্ভাগ্যের। সারা ভারতবর্ষের মানুষ বাংলাকে দেখছে'।
আরও পড়ুুন: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ
কড়া বার্তা বিচারপতির
পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা বলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’ একই সঙ্গে বিচারপতি সিন্হা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার কথা প্রসঙ্গেই বিচারপতি সিন্হা মন্তব্য করেন, ‘‘একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours