Junior Doctor: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনশনে দুই জুনিয়র ডাক্তার, ধর্মতলায় পুলিশি বাধা অব্যাহত

RG Kar: কলকাতার পর এবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে শুরু অনশন, কতজন যোগ দিলেন?
Junior_Doctor_(5)
Junior_Doctor_(5)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের প্রতিবাদ ও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন সাতজন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor)। তাঁদের সমর্থন জানিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদও করছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। এবার সেই রকমই ১০ দফা দাবি জানিয়ে আমরণ অনশন শুরু করলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই জুনিয়র চিকিৎসক সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলোককুমার ভার্মা।

অনশন নিয়ে কী বললেন আন্দোলনকারী? (Junior Doctor)

রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctor) ২৪ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করেন। এরপর সোমবার সকাল থেকেই রোগী পরিষেবার কথা মাথায় রেখে কাজে যোগ দেন ৫৮ জন জুনিয়র ডাক্তার। আউটডোর, ইনডোর, সব বিভাগেই পরিষেবা স্বাভাবিক রাখেন তাঁরা। অন্যদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২ জুনিয়র চিকিৎসক। যতদিন না ১০ দফা দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন এই অনশন চলবে বলে জানান তাঁরা। উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের ইন্টার্ন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দশ দফা দাবি মানতে হবে। যতদিন না সেই দাবি মানা হবে ততদিন আমরণ অনশন চলবে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটা এখনও স্থির নয়। তবে জুনির ডাক্তাররা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটাই সমর্থন করব।”

আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই 'টাকার খেলা' মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

চৌকি কাঁধে করে নিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা

ধর্মতলায় অনশনের তৃতীয় দিনে অশান্তি শুরু হয়। বৌবাজার থানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। অভিযোগ, অনশনমঞ্চে বসবার জন্য যে চৌকি আনা হয়েছিল, সেগুলো 'বাজেয়াপ্ত' করেছে পুলিশ। রাস্তাতেই ওই নিয়ে একপ্রস্ত বাদানুবাদ হয় পুলিশ এবং জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor)। তার পর সোমবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়াল বৌবাজার থানার সামনে। জুনিয়র ডাক্তারদের স্লোগানে স্লোগানে ভরে ওঠে থানা চত্বর। পরে থানার মূল গেটের সামনে বসে পড়েন তাঁরা। প্রায় তিন ঘণ্টা বৌবাজার থানায় বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরে 'বাজেয়াপ্ত' করা চৌকি 'ছাড়িয়ে' আনলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ছেড়ে দেওয়া হয় সাইকেল ভ্যানগুলিও। সেগুলোয় কয়েকটি চাপানো হয়। কয়েকটি চৌকি নিজেরাই কাঁধে তুলে নেন ডাক্তারেরা। তার পর হাঁটা দেন অনশনমঞ্চের দিকে। সঙ্গে পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সোমবারই সাংবাদিক বৈঠক করে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। অন্যদিকে, আন্দোলনের সমর্থনে জুনিয়র ডাক্তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিং হবে অনশনের।

পুলিশের জুলুমবাজি!

আন্দোলনরত এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, "পুলিশ এই আন্দোলনে নানা ভাবে বাধা দিচ্ছে। বায়ো টয়লেট বসানো থেকে ডেকোরেটরদের গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া, সবেতেই গায়ের জোর দেখাচ্ছে পুলিশ। সকালে নিজেরাই বায়ো টয়লেট তৈরি করেছি। কিন্তু, এবার চৌকি আনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর থেকে খারাপ জিনিস বোধ হয় কোনও দেশের বা অন্য কোনও রাজ্যের সরকার কোনও দিন করেনি! এরা সেই রাস্তাটাও এবার দেখিয়ে দিল।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles