jalpaiguri: দলীয় নেতার দেহ নিয়ে শ্মশানে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের, কেন জানেন?

জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি শ্মশান এসে কেন ক্ষোভ জানালেন বিজেপি সাংসদ?
Jalpaiguri_(4)
Jalpaiguri_(4)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় নেতার দেহ সৎকার করতে শ্মশানে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি পুরসভার শ্মশানে। লাইন দেখে মনে হয়েছে যেন দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অথবা রেশন দোকানে লাইনে রয়েছেন। তারপর আবার ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিন্তু কে বলবে এটা শ্মশান? আর এই শ্মশানেই প্রয়াত বিজেপি নেতা সুভাষ চন্দ্র দাসের মৃতদেহ দাহ করতে এসে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন বিজেপি সাংসদ-বিধায়করা।

ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন বিজেপি নেতা সুভাষচন্দ্র দাস। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। শেষ শ্ৰদ্ধা জানাতে রাতে শ্মশানে উপস্থিত হন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়, ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বৰ্মণ সহ জেলার এবং স্থানীয় নেতৃত্ব। এরপরই হয়রানির অভিযোগ করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ সৎকার করতে নিয়ে এসে চরম হয়রানির এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বীকার হলেন মৃতের পরিবার এবং বিজেপি নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, ঘুটঘুটে অন্ধকার শ্মশানের চারপাশ। নেই আলো। তারপর শ্মশানে আবার লম্বা লাইন। ভিতরে গিয়ে জানতে পারি, নষ্ট হয়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লির তার। বন্ধ রয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। তাই, জ্বালানি কাঠ দিয়েই সৎকার করতে হবে দেহ। যা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মৃতের পরিবার সহ বিজেপি নেতারা।

কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

 জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, মৃতের পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিল বিদ্যুতিক চুল্লিতে শেষকৃত্য করবে। কিন্তু এখানে এসে তাদের হয়রানির শিকার হতে হল। চুল্লি নাকি খারাপ, যার কারণে মৃতদেহ এনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে জ্বালানি কাঠ জোগাড়ের জন্য। তৃণমূল পুরবোর্ডের শ্মশানের পরিষেবা উন্নত করার কোনও ইচ্ছে নেই।

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

তৃণমূলের জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, বিজেপি নেতারা জেনে শুনে গিয়েছেন? আসলে নির্বাচনের জন্য তাঁরা দেখানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূল কাজ করে না। ওটা খারাপ হলে ঠিক করবেও তৃণমূল। মানুষের জন্য কাজও করবে তৃণমূল। তাই, এসব বলে কোনও লাভ নেই।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles