মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী (Jagatdhatri Puja 2024) পুজো মানেই চন্দননগরের কথা সবার আগে ভেসে ওঠে। এই শহরে জগদ্ধাত্রী পুজোর জৌলুসের কাছে হার মানতে বাধ্য সকলেই। মায়াবী আলোর খেলা, সুউচ্চ মূর্তি, সোনা-রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত দেবী। চন্দননগরে (Chandannagar) দুর্গাপুজোর মতোই পাঁচদিন ধরে চলে জগদ্ধাত্রী পুজো।
কী ভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? (Jagatdhatri Puja 2024)
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagatdhatri Puja 2024) কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে রয়েছে নানা মত। একটি মত বলে, নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমলেই শুরু চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। আরেকটি মতে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছিল ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর হাত ধরে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। তিনি ছিলেন ফরাসি সরকারের দেওয়ান। শোনা যায়, কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বাড়ির পুজোয় অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন তিনি। কৃষ্ণচন্দ্রের বাড়ির সেই পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে যান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জের চাউলপট্টির বাসিন্দা। সেখানেই চাউলপট্টির নিচুপাটিতে ইন্দ্রনারায়ণ প্রথম শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে এই কাহিনি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। অনেকের মতে ১৭৫৬ সালে মৃত্যু হয় ইন্দ্রনারায়ণের। কিন্তু সেই সময় জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছিল কি না, তা নিয়েও মতভেদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের
তেঁতুলতলার পুজো
অন্য মতে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান ছিলেন দাতারাম শূর। দাতারামের বসবাস ছিল ভদ্রেশ্বরের (Jagatdhatri Puja 2024) গৌরহাটি অঞ্চলে। জনশ্রুতি, এখানেই আনুমানিক ১৭৬২ সাল নাগাদ দাতারামের বিধবা মেয়ে তাঁর বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন। অনেকের মতে এ পুজোতেও অনুদান দিতেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। পরবর্তীকালে এই পুজোই স্থানান্তরিত হয় বর্তমানের শিবতলা অঞ্চলে। মাঝে আর্থিক কারণে পুজোটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে গৌরহাটি অঞ্চলের বাসিন্দারা পুজোটির দায়িত্ব নেন এবং সেই পুজোটি আজ এলাকায় পরিচিত তেঁতুলতলার পুজো নামে। যা দেখতে প্রতি বছর ভিড় জমান বহু মানুষ।
চন্দননগর জুড়ে বিশাল মাতৃ মূর্তির আরাধনা
লক্ষ্মীগঞ্জের চাউলপট্টি, ভদ্রেশ্বরের গৌরহাটিসহ মানকুন্ডু, চন্দননগর, চুঁচুড়া জুড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagatdhatri Puja 2024) কেন্দ্র করে এলাহি আয়োজন করা হয়েছে। এবারও অধিকাংশ পুজো মণ্ডপে বড় আকারের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অধিকাংশ মণ্ডপে মা জগদ্ধাত্রীর টানা চোখ, অপরূপ সুন্দর ত্রিনয়ন, চার হাতে শোভা পাচ্ছে অসুর সংহারের জন্য অস্ত্র। দেবী সিংহ বাহিনী। এই রূপেই পূজিত হন দেবী জগদ্ধাত্রী। সারা চন্দননগর জুড়েই বিশাল বিশাল মাতৃ মূর্তির আরাধনা করা হয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা তুঙ্গে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours