মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগতকে যিনি ধারণ করেন, তিনিই হলেন দেবী জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2024)। পরমাসুন্দরী চতুর্ভুজা, সিংহ অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পদতলে থাকে হাতির কাটা মুন্ডু। দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়ার আর এক রূপ। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকে বাংলায় এই পুজোর প্রচলন হয়। কৃষ্ণনগর থেকে কলকাতা, গঙ্গাপাড় ধরে দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলা। পুরাণে দেবী জগদ্ধাত্রীর মাহাত্ম্য অনেক।
অহং নাশে জগদ্ধাত্রীর প্রকাশ
পুরাণ অনুযায়ী, দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের পর অহংকারে ভুগতে থাকেন দেবতারা। তাঁরা মনে করতে থাকেন, দেবী অসুর বধ করেছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি দেবতাদেরই সম্মিলিত শক্তির প্রকাশ। যেহেতু ব্রহ্মার আশীর্বাদের জন্য কোনও পুরুষ মহিষাসুরকে বধ করতে পারবেন না, তাই নারীর প্রয়োজন হয়েছে মাত্র। তাঁদের ধারণা, পক্ষান্তরে শক্তিশালী অসুর বধের পিছনে রয়েছেন দেবতারাই (Jagadhatri Puja 2024)। এই গর্ব বোধ দেখে তাঁদের শক্তির পরীক্ষা নেন দেবী। তৃণখণ্ড তাঁদের দিকে ছুড়ে দেন। দেবরাজ ইন্দ্র তৃণটি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হন। অগ্নিদেবও তা পোড়াতে পারেননি। বায়ুদেব পারেননি উড়িয়ে নিয়ে যেতে। জলের স্রোতে ভাসাতে পারেননি বরুণ দেবও। এর পরই দেবী জগদ্ধাত্রী আর্বিভূত হন। বুঝিয়ে দেন তিনিই জগতের ধারিণী শক্তি।
আরও পড়ুন: টাটাকে বাঁচিয়েছিল এই মহিলার হিরে, চেনেন ভারতের প্রথম মহিলা টেনিস অলিম্পিয়ানকে?
দেবীর পদতলে হাতি কেন
দেবী জগদ্ধাত্রীর (Jagadhatri Puja 2024) পদতলে হাতিটিকে দেবতাদের অহংয়ের প্রতীক হিসেবে মানা হয়। দেবী যেহেতু দেবতাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা কিছুই নন, তাই তাঁদের অংহকারকে বধ করেছিলেন তিনি। তাই পদতলে থাকে হাতি। সংস্কৃত শব্দে হাতির অর্থ করী। অন্য এক মতে, দেবী জগদ্ধাত্রী যে অসুরকে বধ করেছিলেন, তার নাম করীন্দ্রাসুর। তিনি হাতি রূপে মায়ের সামনে এসেছিলেন। তাঁকে দেবী বধ করেন বলে জগদ্ধাত্রীর অপর নাম করীন্দ্রাসুরনিসূদিনী। প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লা নবমীতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা শুরু হয়। এই পুজো দুর্গাপুজোর মতো সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত মহা সমারোহে হয়ে উদযাপিত হয়৷
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours