মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা ১৯৬২ সাল নয়, ২০২২। দেশে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই সরকার দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে কড়া জবাব দেয়। চিনকে সতর্ক করলেন তাওয়াং বৌদ্ধমঠের সন্ন্যাসীরা। তাওয়াংয়ে চিনের আগ্রাসনে চিন্তিত দেশ। কয়েকদিন আগেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় চিনা সেনার অনুপ্রবেশ রুখে দেয় ভারতীয় সেনা বাহিনী। গালওয়ান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পিপলস লিবারেশন আর্মির ষড়যন্ত্র শুরুতেই ধরে ফেলেন সীমান্তের প্রহরীরা।
লামার কথায়
তাওয়াংয়ে চিনের আগ্রাসন প্রসঙ্গে লামা ইয়েশি খাও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাউকে ছাড় দেবেন না। আমরা মোদি সরকার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করি।" প্রাচীন তাওয়াং মঠ ১৯৬২ সালের যুদ্ধেরও সাক্ষী বলে জানান খাও। তিনি বলেন, "পৃথিবীতে শান্তি চাইলে অন্যের জমি আগ্রাসন করা উচিত নয়। চিনা সরকার সবসময় অন্যের সীমান্তে নজর দেয়। এটা সম্পূর্ণ ভুল। চিন ভারতের জমির দিকে হাত ওঠাচ্ছে। তারা ভুল করছে। চিন যদি সত্যি শান্তি চায়, তাহলে এটা তাদের করা উচিত নয়। অন্যের ক্ষতি করা কখনওই কাম্য নয়।"
অরুণাচলপ্রদেশ (Arunachal Pradesh)সীমান্তে চীনকে নিয়ে সদাসতর্ক ভারত। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি ভারতীয় সেনা। তবে, শীতের সময় বরফ ঢাকা সেলা পাস ( Sela Pass) পার করে দুর্গম তাওয়াং (Tawang) এলাকায় পৌঁছনো রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। সেই বাধাও এবার দূর করে ফেলছে ভারত। এবার যে কোনও আবহাওয়ায় তাওয়াং পৌঁছতে সেলা পাসে নতুন টানেল তৈরি করা হচ্ছে। তাওয়াং মঠের লামা খাও জানান, বর্তমান ভারত সরকার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, যারা তাওয়াংকে সুরক্ষিত রাখবে। তিনি বলেন, "১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময়, এই মঠের সন্ন্যাসীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেছিলেন। চিনা সেনাবাহিনীও মঠে প্রবেশ করেছিল, কিন্তু তারা কাউকে আঘাত করেনি। এর আগে তাওয়াং তিব্বতের অংশ ছিল এবং চিন সরকার তিব্বতের জমি দখল করে নিয়েছিল। চিন সরকারের দাবি, তাওয়াংও তিব্বতের অংশ। কিন্তু তাওয়াং ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা চিন্তা করি না কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে রয়েছে। সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে আমরা চিন্তিত নই এবং আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি।”
আরও পড়ুন: তাওয়াং সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করল চিন! জবাব ভারতীয় সেনার
১৬৮১ সালে পঞ্চম দলাই লামার অনুমোদনের পর তৈরি হয়েছিল তাওয়াং মঠ। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম মঠ এটি। তাওয়াংয়েই জন্মগ্রহণ করেছিলেন ষষ্ঠ দলাই লামা। বর্তমানে এই মঠে প্রায় ৫০০ সন্ন্যাসী রয়েছেন। বৌদ্ধ দর্শনের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষাও দেওয়া হয় এই মঠে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours