মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। ভাঙড়ে প্রবেশ করতে পারছেন না সেখানকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। তবে বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়তে নারাজ তিনি। বললেন, ‘‘এ ভাবে বিপ্লব আটকানো যায় না।’’ভাঙড়ের পরিস্থিতি জানিয়ে, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন তিনি। জানালেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রেও অভিযোগ জানাবেন।
ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠাই লক্ষ্য
মঙ্গলবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত ১২ জন আইএসএফ সমর্থককে স্বাগত জানাতে যান নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘১৪৪-এর অজুহাতে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে আমি সেখানে ছাড়পত্র পাব।’’ নওশাদের কথায়, ‘‘আমায় ১৪৪ ধারার কথা বলে যে ভাবে আটকাচ্ছে (পুলিশ), তাতে আমি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার স্যার (বিধানসভার স্পিকার)— সমস্ত দফতরকে জানিয়েছি। এর পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব। আমার লক্ষ্য, ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা।’’ ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে নওশাদ বলেন,‘‘ভাঙড়ের মানুষকে যে ভাবে অশান্তির মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন যাতে ভাঙড়বাসী করতে পারেন সেটা ব্যবস্থা করব আমি। যারা শান্ত ভাঙড়বাসীকে অশান্তির মধ্যে রেখেছিল, আতঙ্কের মধ্যে রেখেছিল, যারা ভাঙড়কে রাজনৈতিক উত্তাপের শিরোনামে নিয়ে গেল, সেই সমস্ত রাজনীতির কারবারীদের আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঘুমোতে দেব না।’’
নওশাদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত ওই রক্ষাকবচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, ২৭ জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেরর মামলায় কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের তিন দিন আগে, ৫ জুলাই নিউ টাউন থানায় ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। তাঁকে ‘সহায়তা’ করেছিলেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। ওই অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন নওশাদ। পরে জানা যায়, ডোমকল শহরে তৃণমূলের সর্বশেষ যে কমিটি ঘোষিত হয়েছিল, তাতে মোট পাঁচ জনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। তার চার নম্বরে নাম ছিল নওশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী তরুণীর।
+ There are no comments
Add yours