Dengue: বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? বর্ষার শুরুতেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর দ্বিগুণ প্রকোপ!

ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের হুঁশ ফিরছে কি? 
Dengue
Dengue

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

অগাস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় আতঙ্ক। অক্টোবরে প্রকোপ বাড়ে মারাত্মক! প্রত্যেক বছর ম্যালেরিয়া আর ডেঙ্গুর (Dengue) প্রকোপ যেন রাজ্যবাসীর সঙ্গী হয়েছে। এ বছরে সেই ভোগান্তি আরও কয়েক গুণ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, বর্ষার শুরুতেই দ্বিগুণ হয়েছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা!

কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Dengue)? 

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের প্রথম ছ'মাসের ডেঙ্গু (Dengue) ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তের পরিসংখ্যান উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ছ'মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দু'হাজারের কাছাকাছি। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শুধু কলকাতাতেই গত ছ'মাসে দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুণ। কলকাতার যাদবপুর, গিরিশ পার্ক সহ একাধিক এলাকায় নিয়মিত ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, গত বছর যে সব এলাকাকে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার জন্য রেড জোন অর্থাৎ, অধিক বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের প্রথম ছ'মাসে সেই সব এলাকার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিশেষ উন্নত হয়নি। বিশেষত উত্তর চব্বিশ পরগনার দমদম, হাবড়া, বসিরহাট, নিউটাউন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক। আবার হুগলি, হাওড়া জেলায় ডেঙ্গুর পাশপাশি প্রকোপ বাড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া। যে হারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তা রাজ্যবাসীর জন্য উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

বিজ্ঞাপনেই কি দায়িত্ব শেষ? 

স্বাস্থ্য দফতর ও সংশ্লিষ্ট পুরসভার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, হোর্ডিং আর ফ্লেক্স টাঙিয়েই দায়িত্ব শেষ করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট মহল। যেমন, উত্তরপাড়ার একাধিক রাস্তায় হোর্ডিং টাঙিয়েছে উত্তরপাড়া পুরসভা। আশপাশ পরিষ্কার রাখা, নোংরা না ফেলার জন্য সেখানে বলা হয়েছে। জমা জল মশার আঁতুড় ঘর, ডেঙ্গু (Dengue) নিয়েও রয়েছে সতর্কবার্তা। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা, পার্ক কে পরিষ্কার করবে? উত্তরপাড়ার একাধিক পার্কে অপ্রয়োজনীয় গাছ কাটা হয় না। নোংরা হয়ে থাকে। ফলে, শিশুরা খেলতে গেলেই মশার কামড়ের আশঙ্কা থাকে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও তাদের অভিযোগ। বৃষ্টি হলেই জল জমে। এই একই অভিযোগ হাওড়া ও কলকাতার বাসিন্দাদের একাংশের। গিরিশ পার্ক সহ উত্তর কলকাতার একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার মোড়ে হোর্ডিং দেওয়া হচ্ছে, জল জমতে দেওয়া যাবে না। এদিকে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার জল বাড়িতে উঠে আসছে। শুধু বিজ্ঞাপন কি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া রুখতে পারবে?

কী বলছেন স্বাস্থ্য কর্তারা? 

স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য এই সব অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সব রকম কাজ হচ্ছে। শুধুই হোর্ডিং টাঙিয়ে তাঁরা দায়িত্ব শেষ করছেন না। বিভিন্ন পুরসভার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। পঞ্চায়েত ও পুরসভার সাহায্য নিয়ে বাড়ি বাড়ি জ্বর হয়েছে কিনা, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে, এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, "ডেঙ্গু, (Dengue) ম্যালেরিয়া রুখতে সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। মানুষ তার আশপাশ পরিষ্কার রাখলে অনেক সংক্রমণ কমবে। তাই সেদিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।"

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles