মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রা পুরোপুরি বদলে গেছে। তাদের জীবনধারা ও খাদ্যাভাস সমস্ত কিছুতে পরিবর্তন আসায় মানুষের দেহে বিভিন্ন রকমের রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। আলস্যতাও বেড়েছে ফলে তা স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে এবং বিভিন্ন রোগের জন্ম হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Worls Health Organisation) অনুসারে, বর্তমানে ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। ২০ বয়স থেকে ৭০ বয়সের মানুষের প্রায় ৮.৭ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। রক্তে যখন শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখনই মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেয়। এই অসুখ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা চিরস্থায়ী হয়ে যায়। যদিও চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে এবং খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলে নিয়ন্ত্রণ আনলে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আরও পড়ুন:করোনা থেকে সেরে উঠেছেন? ভালো থাকতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর রাখা উচিত। কোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। কিন্তু আপনারা অনেকেই জানেন না, একটি ফল খাদ্যতালিকায় রাখলে মধুমেহকে নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়, আর সেটি হল কাঁঠাল (Jackfruit)। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তবে আপনার ডায়েটে কাঁঠাল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কাঁঠাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি, রাইবোফ্লাভিন, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল। কাঁঠালে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় এটি ডায়াবেটিক রোগীর জন্য উপকারী। এমনকি রান্না করা কাঁঠালের চেয়ে পাকা কাঁঠাল বেশী উপকারী।
কিন্তু কাদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয় জানেন কি?
যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পাশাপাশি অনেক সময় কাঁঠালের ফলে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিডনির সমস্যা থাকলেও কাঁঠাল খাওয়া একেবারেই চলবে না। কারণ, কাঁঠাল রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা হাইপারক্যালেমিয়া (hyperkalemia) রোগের সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: এই ৫ ভারতীয় সুপারফুড, যা আপনাকে করতে পারে রোগমুক্ত
সব মিলিয়ে ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁঠাল খেতে পারেন। তবে তা পরিমাণে হতে হবে অল্প। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে কীরূপ প্রতিক্রিয়া করতে পারে তা জানা সম্ভব নয়। তাই কাঁঠাল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
+ There are no comments
Add yours