Cyber attack on Iran state tv : হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় বছর ২২-র মাহশা আমিনীর,তার পরেই সারা দেশ জুড়ে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন...
WhatsApp_Image_2022-10-09_at_520.22_PM
WhatsApp_Image_2022-10-09_at_520.22_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়াতুল্লাহ খামেইনির নেতৃত্বাধীন ইরান সরকার ১২ জুলাই দিনটিকে জাতীয় হিজাব ও পবিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সে দেশের মহিলারা। সরকার হিজাব বিরোধী আন্দোলনকারীদের স্বর বন্ধ করার জন্য নির্মম ভাবে হত্যালীলা চালাচ্ছে সারাদেশ জুড়ে।

সম্প্রতি হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় বছর ২২-র মাহশা আমিনীর। তাঁর মৃত্যুর পরেই ইরান জুড়ে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। রাজধানী তেহেরানের রাস্তায় হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে জড়ো হন প্রতিবাদীরা। রবিবার সকালে এই আন্দোলনের আঁচ দেখা গেল ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে। ইরানের এই সরকারি চ্যানেলটিতে লাইভ সম্প্রচার (Live Broadcast) চলাকালীন হঠাৎ সাইবার হানাকারীরা কয়েক সেকেন্ডের জন্য চ্যানেলটিকে হ্যাক করে ফেলে। তারা একটি ছবি প্রদর্শন করে, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে দেশটির সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেইনির (ayatollah khaminei) ছবির নীচে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে নিহত মাহসা আমিনী (Mahsa Amini) হাদিস নাজাফি (Hadis Najafi) সহ আরও দুটি মেয়ের ছবি রয়েছে। আয়াতুল্লাহ খামেইনিকে উল্লেখ করে ছবিতে লেখা আছে, তরুণ- তরুণীদের (Youth) রক্ত আপনার হাতে লেগে আছে। হ্যাকিংয়ের কারণে ১২ সেকেন্ড আইআরআইবির পর্দা হ্যাকারদের দখলে থাকার পর ফিরে আসেন সংবাদ উপস্থাপক।এদালাত-ই আলী (Edalat-e Ali ) নামে একদল হ্যাকার গ্রুপ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

[tw]

[/tw] 

ইরান সরকারের এই বর্বরচিত অত্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। এমনিতেই তেল রপ্তানি নিয়ে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই আরোপ ছিল। আমেরিকার ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল অফিস ইরানের মানুষদের মানবাধিকার হনন করার অপরাধে সাতজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের উপর আর্থিক জরিমানা করেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মৌলিক অধিকারের জন্য বিক্ষোভরত ইরানের সাহসী নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা।

এছাড়াও কানাডা সরকারও ২৫ ব্যক্তি সহ নয়টি প্রতিষ্ঠান, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এবং দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের উপর  নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। ইরানের প্রেস টিভি নামক ইংরেজী চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে কানাডা সরকার।

প্রসঙ্গত, নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস গত ৭ অক্টোবর জানায়, বিক্ষোভে অন্তত ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেক মানুষ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles