Qom: পড়াশোনা বন্ধ করতে ছাত্রীদের শরীরে বিষ প্রয়োগ ইরানে

উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন, কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত ভাবেই ছাত্রীদের বিষ খাইয়েছেন
Hijab_Row
Hijab_Row

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়াশোনা বন্ধ করতে বিষ প্রয়োগ। ইরানের রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে কওম (Qom) শহরের কয়েকটি স্কুলে ছাত্রীদের শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হল। মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করতেই যে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে, তা কার্যত মেনে নিলেন ইরানের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি। সম্প্রতি, উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন, কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত ভাবেই ছাত্রীদের বিষ খাইয়েছেন। পানাহি বলেন, “কওম (Qom) শহরে ছাত্রীদের বিষক্রিয়ার ঘটনায় একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। কিছু মানুষ চান স্কুল বন্ধ হোক, বিশেষ করে ছাত্রীদের স্কুল।”  

ভয় দেখানোই লক্ষ্য

ভয় দেখানোই লক্ষ্য ছিল কওম (Qom) শহরে

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনায় শহরের প্রশানিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান একদল অভিভাবক। তাঁরা এই বিষয়ে সরকারের জবাবদিহি চান। পরদিন ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি বাহাদোরি জাহরোমি জানান, দেশের গোয়েন্দা এবং শিক্ষামন্ত্রক বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। কী ভাবে ছাত্রীদের শরীরে বিষ ঢুকল, তার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা তা অবশ্য জানাননি ইরানের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পানাহি জানিয়েছেন, এই বিষক্রিয়া ঘটানোর জন্য যে ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেগুলি যুদ্ধে ব্যবহৃত রাসায়নিক নয়। এবং সেই বিষ নিষ্কাশনের জন্য জটিল কোনও চিকিৎসারও প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত রাসায়নিকের বেশিরভাগেরই চিকিৎসা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই অনুমান করা যায়, ছাত্রীদের ভয় দেখিয়ে তাদের পড়াশোনা বন্ধ করাই ছিল এই কাজের লক্ষ্য।

আরও পড়ুন: অগ্নিপথ প্রকল্পকে ক্লিনচিট দিল্লি হাইকোর্টের, খারিজ যাবতীয় বিরোধী-মামলা

গত নভেম্বর থেকে ইরানের কওম (Qom) শহরে একাধিক ছাত্রীর শরীরে বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেছে। অনেককে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালেও। ইতিমধ্যে প্রসিকিউটার জেনারেল মহম্মদ জাফর মোন্তাজেরি এই ঘটনায় একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই তদন্তে উঠে আসে, ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশে ছাত্রীদের শরীরে তাদের অলক্ষ্যে বিষ প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে কে বা কারা এই কাজ করছে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। হিজাব না পরার জন্য নীতি পুলিশের হাতে ২২ বছর বয়সি মাহশা আমিনির (Mahsa Amini) মৃত্যুর পর থেকেই প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ইরান। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল অজস্র প্রতিবাদীকে। এবার ছাত্রীদের বিষ খাওয়ানোর ঘটনা ঘটল।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles