CBI: সিউড়ি থানার আইসিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

মহম্মদবাজারে থাকার সময় কয়লা পাচারের জন্য প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত সিউড়ি থানার বর্তমান আইসিকে । লালার মুখে তাঁর নাম জেনেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
Cbi
Cbi

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই (Cbi) ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই (Cbi) আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি  বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের   কয়লা পাচার করতে  কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি মুশকিল আসান ছিলেন। মহম্মদ আলি থাকলে পাচারকারীদের কাজ করতে কোনও সমস্যা হত না বলে তদন্তকারী অফিসার জানতে পেরেছেন। কারণ, অনেকেই সে কথা তদন্তকারী অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছে। এর আগে কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এবং গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামূল হকের আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে রাজ্যে ১০০টি থানার অফিসার ইন চার্জের নাম পাওয়া গিয়েছে। লালার নিতুড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৫ হাজার পাতার খাতা পাওয়া গিয়েছে, তাতে সব পুলিশ অফিসারের খুঁটিনাটি রয়েছে। প্রোটেকশন মানি হিসেবে কাকে কত টাকা দেওয়া হত তার বিস্তারিত রয়েছে। সিউড়ি থানার আইসির কাছে নিয়মিত টাকার খাম পৌঁচ্ছে যেত। লালার কাছে থেকেই সেই তথ্য তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছে।

মহম্মদ আলি বীরভূম জেলায় কত বছর আছে জানেন? Cbi

২০০৫ সালে বীরভূম জেলায় মহম্মদ আলির পোস্টিং হয়। এরপর নলহাটি, কাঁকড়তলা, খয়ড়াশোল, ইলামবাজার মহম্মদবাজার থানায় তিনি ঘোরাফেরা করেছেন। মূলত যে সব রুট দিয়ে কয়লা পাচার হত, সেই সব থানায় তিনি দায়িত্বে থাকতেন। এক সময় তিনি বাম নেতাদের কাছাকাছি থাকলেও রাজ্যে পালা বদলের পর তিনি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। মহম্মদবাজার থানায় থাকার সময় তিনি কয়লা পাচারকারীদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেন। কয়লা পাচারকারীরা তাঁর মাধ্যমেই পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিকদের কাছে টাকা পৌঁচ্ছে দিত। শুধু তাই নয়, যে সব থানা দিয়ে কয়লার গাড়ি যেত সেখানকার প্রোটেকশন মানিও তাঁর হাত দিয়ে যেত বলে (Cbi) সিবিআই তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কারণ, যারা নিয়মিত এই টাকা মহম্মদ আলিকে দিত তারা তদন্তকারী অফিসারের কাছে সে কথা স্বীকার করেছেন। কয়লা পাচারকারীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি শাসক দলের দাপুটে নেতাদের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত ওঠাবসা ছিল। বীরভূমের এক প্রভাবশালী নেতার কাছে তিনি নিয়মিত যেতেন বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। এক সময় প্রায় নিয়মিত সেই নেতার বাড়ি গিয়ে কী করতেন তা তদন্তকারী অফিসাররা জানার চেষ্টা করছেন। সিউড়ি থানার আইসি হিসেবে থাকলেও নলহাটি, মহম্মদবাজারসহ একাধিক থানা তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন। জেলার এক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে তাঁর এতটাই সখ্যতা ছিল যে জেলার বিভিন্ন থানায় কে কোথায় অফিসার হবেন তা তিনি ঠিক করতেন। তদন্তকারীরা আধিকারিকরা এই সব তথ্য কতটা সত্যি তা যাচাই করে দেখছেন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles