INS Vikrant: ‘বিক্রান্ত’ নামের কী মাহাত্ম্য? নৌসেনায় তাৎপর্যই বা কী? ফিরে দেখা ইতিহাস

Indian Navy: ...এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে, ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর নামকরণ করা হল আইএনএস বিক্রান্ত
ins-vikrant-old-new
ins-vikrant-old-new

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy), বা বলা ভাল সামরিক ইতিহাসে "বিক্রান্ত" শব্দটার মাহাত্ম্য অন্যরকম। এর আগে, ভারতের (India) প্রথম যে বিমানবাহী রণতরী (Aircraft Carrier) ছিল, তার নামই ছিল আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant)। ১৯৬১ সালে ব্রিটেনের থেকে কেনা হয়েছিল ওই যুদ্ধজাহাজ। ১৯৯৭ সালে তাকে ডিকমিশন্ড করা হয়। অর্থাৎ, নৌবাহিনী থেকে অবসর নেয় বিক্রান্ত। তবে তার আগে, ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে (1971 Indo Pak War) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ওই জাহাজটি। 

সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে, ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীর (First Indigenous Aircraft Carrier) নামকরণও দেশের প্রথম বিমানবাহী রণতরীর নামে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে এর নকশা তৈরি হয়। নৌসেনার অধিনস্থ ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন (Directorate of Naval Design)-এর নকশা করে। কিন্তু, নির্মাণ কাজ শুরু হয় এক দশক পর অর্থাৎ ২০০৯ সালে। এরপরও দফায় দফায় নির্মাণ ব্যাহত হওয়ায় সময় নষ্ট হয়েছে। অবশেষে, ২০১৩ সালে একে জলে ভাসানো হয়। অবশেষে ২০২২ সালে, নৌসেনার হাতে আসছে আইএনএস বিক্রান্ত। অর্থাৎ, নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় ১৩ বছর। জাহাজটি তৈরি করেছে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড (Cochin Shipyard Limited)।

আরও পড়ুন: এক ভাসমান দূর্গ যার নাম ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) উপস্থিতিতে নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হল প্রথম ইন্ডিজেনাস এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারের। আজ থেকে নামকরণ হল ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। এই যুদ্ধজাহাজ অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত, এটিই হল ভারতে তৈরি প্রথম রণতরী। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা বিমাণবাহী রণতরী ব্যবহার করে। তৈরি করাটা অনেক দূরের ব্যাপার। সেই দিক দিয়ে, ভারত নিজের বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করে আত্মনির্ভরতা ও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সের পর ভারত হল বিশ্বের ষষ্ঠ দেশ যারা নিজেরা বিমানবাহী রণতরী তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। 

এই জাহাজের ৭৬ শতাংশ দেশে তৈরি। দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় তৈরি হয়েছে এর যন্ত্রাংশ। এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এর ফলে, ভারতের সামরিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। এই বিমানবাহী রণতরী দৈর্ঘ্যে ২৬২ মিটার। অর্থাৎ, দুটো ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। চওড়া ৬২ মিটার। উচ্চতা ৫৯ মিটার। মোট ১৪টি ডেক রয়েছে। জাহাজে রয়েছে ২৩০০-র বেশি কম্পার্টমেন্ট। অফিসার ও নাবিক মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ জন ক্রু-র থাকার সংস্থান রয়েছে। এর মধ্যে মহিলা অফিসারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles