INS Arighat: ভয় পাচ্ছে চিন-পাকিস্তান! পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম দ্বিতীয় ডুবোজাহাজ পেল নৌসেনা

Indian Navy: পরমাণু শক্তিচালিত নয়া ডুবোজাহাজ নৌসেনার হাতে, আসছে আরও ২টি...
GWIRTk8asAA8sxe
GWIRTk8asAA8sxe

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নৌসেনার নতুন সদস্য ‘আইএনএস অরিঘাত’ (INS Arighat)। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে নৌসেনার (Indian Navy) নতুন সদস্য হিসাবে যোগ দিল পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে এই ডুবোজাহাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এর ধারণা থেকে নকশা, নির্মাণ এবং একীভূত করা – সবটাই হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয়ভাবে। এটি দেশের দ্বিতীয় পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ। এই ডুবোজাহাজ সাধারণ সাবমেরিনের তুলনায় অনেক বেশিক্ষণ জলের নীচে ডুবে থাকতে পারে। ফলে, শত্রুর চোখকে ফাঁকি দিতে এর জুড়ি মেলা ভার।

ঘুম ছুটবে চিনের

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিমে দুই বিশাল জলসীমা। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর। দুই সাগর দক্ষিণে এসে মিশেছে ভারত মহাসাগরে। ফলে দেশের পূর্ব-পশ্চিমের দুই জলসীমাই যাতে সমান সুরক্ষিত থাকে সে জন্য নৌসেনার (Indian Navy) চাহিদা ছিল অন্তত ২টি বিমানবাহী রণতরী। আইএনএস বিক্রমাদিত্যর পর আইএনএস বিক্রান্ত এসে যাওয়ায় সে প্রয়োজন মিটেছে। একইভাবে নৌসেনার দাবি ছিল চিনের বিপদের কথা মাথায় রেখে অন্তত ২টো পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ চাই-ই চাই। এতদিন ভারতের হাতে ১টা পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ ছিল। ২০১৮ সাল থেকে কাজ করছে আইএনএস অরিহন্ত। এবার তার সঙ্গেই নৌ-সেনায় এসে গিয়েছে আইএনএস অরিঘাত (INS Arighat)। পাকিস্তানের একটা বড় অংশ ও চিনের ইউনান প্রদেশ চলে আসছে এর আওতায়।

নৌসেনার প্রশংসায় রাজনাথ

অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি জানান, দেশের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ভারত উপমহদেশীয় অঞ্চলে কৌশলগত ভারসাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আইএনএস অরিঘাত। দেশীয় এই সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তির জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী এবং ডিআরডিও-র ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং। এ প্রসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর মন্ত্রকে স্মরণ করে রাজনাথ বলেন, “আজকের এই কৃতিত্ব আত্মনির্ভরতার এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। ভারত একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। প্রতিরক্ষা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের দ্রুত এগোতেই হবে। বিশেষ করে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটা অপরিহার্য। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি, আমাদের একটা শক্তিশালী সামরিক বাহিনী লাগবে। যাতে আমাদের সৈন্যরা ভারতের মাটিতে তৈরি সেরা মানের অস্ত্র এবং প্ল্যাটফর্মগলি পায়, আমাদের সরকার তার জন্য অভিযানে নেমেছে।”

অত্যাধুনিক সাবমেরিনে নতুনত্ব

সূত্রের খবর, ‘আইএনএস অরিঘাত’-এ (INS Arighat) ১২টি কে-১৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ১,৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে অনায়াসে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। পরমাণু শক্তিকে ব্যবহার করে এই জাহাজ সমুদ্রের উপরে ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার বেগে চলবে। সমুদ্রের নীচে ঘণ্টায় এর গতিবেগ ৪৪ কিলোমিটার। ১১৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জাহাজ সমুদ্রের ৯৮০ থেকে ১৪০০ ফুট নীচ দিয়ে চলতে পারে। কে-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি এই জাহাজে চারটি কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। যেগুলি ৩,৫০০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। ক্ষেপনাস্ত্র ছাড়াও ২১ ইঞ্চির চারটি টর্পিডো লঞ্চার টিউব রয়েছে এই ডুবোজাহাজে। নতুন ডুবোজাহাজে দরকারে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোও যাবে।

নৌসেনার পরিকল্পনা

চিন ও পাকিস্তানকে ঠেকাতে ভারতের নৌসেনার (Indian Navy) পরিকল্পনা এখানেই শেষ নয়। আগামী বছর নৌসেনায় যোগ দেবে আরও একটা পরমাণু শক্তিধর সাবমেরিন। যার নাম ‘আইএনএস অরিদমন’। যাতে থাকবে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র। আর দেশে চার নম্বর নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তৈরির কাজ এখন চলছে। সূত্রের খবর, এই ৪টি ছাড়া আরও ২টি নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন নির্মাণের পরিকল্পনা এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির ছাড়পত্রের অপেক্ষায়। এটা সহজেই অনুমেয়, সবকটা জাহাজ হাতে চলে এলে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে চিনের চোখ রাঙানোর দিন শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন থেকেই কিছুটা ব্যাকফুটে খেলতে শুরু করেছে চিন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles