মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এক টাকায় কী পাওয়া যায়? এই প্রশ্ন করলে প্রত্যেককেই মাথা চুলকাতে হবে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও কিছুই মাথায় আসবে না। উত্তরে হয়তো অনেকেই বলবেন, এক টাকায় এখন আর কিছুই পাওয়া যায় না। কিন্তু, সেই উত্তর যে ভুল, তা প্রমাণ করেছেন নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাসের গোপালচন্দ্র রায়। তাঁর দোকানের শিঙাড়া এখনও এক টাকায় পাওয়া যায়।
আগে এই শিঙাড়ার কত দাম ছিল? (Nadia)
ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, বর্তমানে যেখানে জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, সেখানে এক টাকায় শিঙাড়া পাওয়া সত্যিই অদ্ভুত ব্যাপার। যদিও এখন শিঙাড়ার দাম এক টাকা হলেও আগে তা পাওয়া যেত মাত্র কুড়ি পয়সায়। পরবর্তীতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে দাম বেড়েছে। ৪০ পয়সা, ৫০ পয়সা থেকে এখন এক টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে গোপালবাবু এই শিঙাড়া বিক্রি করে আসছেন নদিয়ার (Nadia) শিবনিবাস মন্দিরের কাছেই। যেহেতু শিবনিবাস মন্দির বহু প্রাচীন এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ এখানে প্রতিষ্ঠিত, তাই মন্দির চত্বরে কোনওরকম আমিষ খাবার বিক্রির প্রচলন নেই। তাই নিরামিষভাবে তৈরি করেন এই শিঙাড়া। ৫০ বছর ধরে তা বিক্রি করে আসছেন। ক্রেতারা বলেন, গোপালবাবুর শিঙাড়া খুবই সুস্বাদু এবং খুব পরিষ্কার। আর দামেও সস্তা।
কী বললেন এই শিঙাড়া তৈরির কারিগর?
গোপালবাবু জানান, যতদিন তিনি বাঁচবেন, ততদিনই এই শিঙাড়া এক টাকাতেই বিক্রি করবেন। এই শিঙাড়ার চাহিদা প্রচুর, তাই দোকান খুললেই শিঙাড়ার জন্য লাইন পড়ে যায়। নদিয়া (Nadia) জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই শিঙাড়া খাওয়ার জন্য এখানে আসেন। তিনি বলেন, আট থেকে আশি, সবাই আমার এই এক টাকার শিঙাড়া খাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে প্রতিদিন। কীভাবে ১ টাকায় শিঙাড়া বিক্রি করছেন? লাভের অংশই বা কী? এই প্রশ্ন করলে দোকানদার গোপালবাবু জানাচ্ছেন, তাঁর লাভ বিক্রির উপরে। বিক্রির পরিমাণ বেশি হলে লাভ হয় বেশি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours