মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর, সেখানের সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ এবং মলদ্বীপের মন্ত্রীদের বিতর্কিত মন্তব্য। এই আবহের মধ্যে লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে তাদের নতুন পরিকল্পনার কথা জানাল টাটা গোষ্ঠী (Ratan Tata)। টাটার এই ঘোষণার পরে, আগামী দিনের পর্যটনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে লাক্ষাদ্বীপ, এতে কোনও সন্দেহ নেই। ধাক্কা খাবে মলদ্বীপও। ইতিমধ্যে গুগল সার্চে গত ২০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে এই ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ। ভারতের নয়া সম্ভবনাময় পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য এবার এই দ্বীপকে বিশেষ উপহার হিসেবে সেখানে দুটি রিসর্ট খোলার কথা জানিয়েছেন রতন টাটা (Ratan Tata)। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা স্বাভাবিকভাবেই খুশি।
কী জানাল টাটা গোষ্ঠী
শিল্পপতি রতন টাটা (Ratan Tata) মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যেই লাক্ষাদ্বীপে দুটি তাজ গ্রুপের হোটেল তৈরি হবে। অর্থাৎ আর মাত্র ২টি বছর। ২০২৬ সাল থেকেই তা জনসাধারণের উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, এই হোটেলগুলি আইএইচসিএল দ্বারা তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতেই টাটা গ্রুপের সহযোগী সংস্থা ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি লাক্ষাদ্বীপে দুটি বড় রিসর্ট করার চুক্তি স্বাক্ষরিত করার কথা ঘোষণা করেছিল। সেই বিষয়টি এবার ঘোষণা করতে শোনা গেল রতন টাটাকে। জানা গিয়েছে, এই হোটেলগুলি লাক্ষাদ্বীপের সুহেলি এবং কদমত দ্বীপে খুলবে। সুহেলির তাজ বিচে ১১০টি ঘর সহ ৬০টি ভিলা এবং ৫০টি ওয়াটার ভিলা থাকবে। কদমতের ১১০টি ঘরের তাজ হোটেলে ৭৫টি বিচ ভিলা এবং ৩৫টি ওয়াটার ভিলা থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরেই চর্চায় লাক্ষাদ্বীপ
প্রধানমন্ত্রী মোদি দিন কয়েক আগেই লাক্ষাদ্বীপের সমুদ্র সৈকতের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে পর্যটকদের এই দ্বীপে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তার পর থেকেই লাক্ষাদ্বীপ গুগুল সার্চে উঠে আসতে থাকে। জানা গিয়েছে, সমুদ্র সৈকতের হোটেল, রিসর্ট খুঁজে দেখতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। এরমধ্যেই এল রতন (Ratan Tata) টাটার ঘোষণা। ৩৬টি দ্বীপ নিয়ে তৈরি হয়েছে লাক্ষাদ্বীপ। এখানকার বাঙ্গারাম, আগত্তি, কদমথ, মিনিকয়, কাভারত্তি এবং সুহেলির মতো দ্বীপগুলি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বেশ বিখ্যাত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours