মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনকে শায়েস্তা করতে নয়া পন্থা অবলম্বন করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হাতে না পেরে পাতে মারাই লক্ষ্য তাঁর। সেই অনুযায়ী জাপান, ভারত সহ এশিয়ার ১৩টি দেশকে নিয়ে আমেরিকা তৈরি করেছিল ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমওয়ার্ক। যেখানে সমমনোভাবান্ন দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে তোলার পাশাপাশি বানিজ্য প্রসারই ছিল মূল লক্ষ্য। কিন্তু ভারত সরকার আপাতত এই প্রকল্পে অংশ নিতে চায় না। লস অ্যাঞ্জেলসে মার্কিন বানিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফেমওয়ার্ক প্রকল্প বড় ধাক্কা খেল।
কিন্তু হঠাৎ করে ভারতের পিছিয়ে আসার কারণ কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল নিয়েছে আমেরিকা। একদিকে আর্থিকভাবে চিনকে দুর্বল করার পাশাপাশি নিজেদের বানিজ্য প্রসারের চেষ্টায় রয়েছে বাইডেন সরকার। এক্ষেত্রে বর্তমান ব্যবস্থা ধ্বংস হতে পারে। তার জেরে নতুন সমস্যা উত্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত। সঙ্গে রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপকে আরও শক্তশালী করে তোলা। পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়াই ভারত সরকারের মূল লক্ষ্য। ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে যোগ দিলে সেই প্রয়াস বাধা পাবে। তাই ভারত এই প্রকল্প থেকে আপাতত সরে আসার সিদ্ধান্ত নিল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচকে ৮১ থেকে ৪৬তম স্থানে ভারত, বিজ্ঞান সম্মেলনে বললেন প্রধানমন্ত্রী
তবে এখনই হাল ছাড়ার পাত্র নন আমেরিকা। মার্কিন বানিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন তাই জানিয়েছেন, ‘ভারত এখন ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে অংশ নিচ্ছে না ঠিকই, তবে আমরা আশা ছাড়ছি না। ভারতের বনিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে আলোচনায় আমরা খুশি। এবছরের শেষের দিকে দুই দেশের প্রতিনিধি আবারও মিলিত হবেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমরা এই বিষয়ে ফের বিস্তারিত আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’ উল্লেখ্য, ভারত ছাড়াও আইপিইএফ প্রকল্পে থাকার কথা অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও আমেরিকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours