মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায়ই মায়ে-ঝিয়ে ঝগড়া হতো। তাই রাগের বশে, মাকে মেরেই ফেলল মেয়ে। শুধু তাই নয়। এরপর যা কাণ্ড ঘটাল মেয়ে, তা শুনেই পিলে চমকে উঠবে। মায়ের নিথর দেহ স্যুটকেসে ভরে, সেটা নিয়ে সটান থানায় হাজির হলেন মেয়ে। সেই সময় থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মীদের চোখ কপালে ওঠে। ঘটনা বেঙ্গালুরুর।
হত্যার আগে মাকে ঘুমের ওষুধ
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুতে ফিজিওথেরাপিস্টের কাজ করতেন। বয়স প্রায় ৩৫ বছর। সাংসারিক বিষয় নিয়ে নিত্য সত্তরোর্ধ্ব মায়ের নিত্য ঝগড়া, ঝামেলা চলত। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবারও ঝগড়া শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। এরপর মা-কে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট মেয়ে। ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় মা-কে গলায় দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে খুন করেন ওই মহিলা। তার পর মায়ের দেহ স্যুটকেসে ভরেন, সঙ্গে রেখে দেন বাবার একটি ছবি। সেই অবস্থায় স্যুটকেস নিয়ে সোজা পৌঁছে যান বেঙ্গালুরুর একটি থানায়। পুলিশকে জানান, তিনিই মাকে খুন করেছেন।
আরও পড়ুন: ফের অসমে সক্রিয় আল কায়েদা! এনআইএ-এর জালে ৪
মহিলার কাণ্ড দেখে পুলিশ থ বনে যায়। পরে, অবশ্য পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম বিভা পাল। অভিযুক্ত মেয়ের নাম সোনালি সেন। ফ্ল্যাটে স্বামী, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে, শাশুড়ি ও মাকে নিয়ে থাকতেন সোনালি। খুনের সময় ঘরে ছিলেন না মহিলার স্বামী বা অন্য কোনও ব্যক্তি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার বাসিন্দার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে মাকে হত্যা!
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় সোনালি জানিয়েছেন, মৃতার সঙ্গে তাঁর এবং শাশুড়ির প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার, ঝগড়া চলাকালীন তাঁর মা ঘুমের ওষুধ খাওয়ার হুমকি দেন। রাগের বশে, মাকে জোর করে ১৫-২০টা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন সোনালী। এরপর দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে মাকে হত্যা করেন। এই হত্যার পিছনে নিছক ঝগড়া, নাকি রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা জানতে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
+ There are no comments
Add yours