মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দেবাস্থল অবজ়ারভেটরিতে (Devasthal observatory) ভারতের প্রথম লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ (liquid-mirror telescope) স্থাপন করা হল। ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটি (ILMT) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৪৫০ মিটার উচ্চতায় হিমালয়ের কোলে স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু যেমন— গ্রহাণু, মহাকাশে ভাসমান ধ্বংসাবশেষ (space debris), সুপারনোভা (supernova) খুব সহজেই ও স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এটি স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?
কী এই লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ (liquid-mirror telescope)?
ভারত, বেলজিয়াম, কানাডার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই টেলিস্কোপটি তৈরি করেছেন। এটি ৪ মিটার ব্যাসের কাচের ওপর তরল পারদের পাতলা আস্তরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজ়ারভেশনাল সায়েন্সেস (ARIES)-এর মালিকানাধীন দেবাস্থল অবজারভেটরি ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়েছে এটি। মাল্টি লেন্সের দ্বারাই আলো প্রতিফলিত হতে পারে ও এর ফলেই স্বচ্ছ ছবি পাওয়া যায়। বড় আকৃতির ইলেকট্রনিক ক্যামেরাটি টেলিস্কোপের ফোকাসে স্থাপন করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটি সহ দেবস্থলে মোট তিনটি টেলিস্কোপ রয়েছে। এই বছরের অক্টোবর মাস থেকেই এই টেলিস্কোপটি ব্যবহার করা শুরু হবে।
কারা এটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে?
বেলজিয়াম, ভারত, কানাডা, পোল্যান্ড, উজবেকিস্তান এই দেশগুলি ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটি স্থাপনে সাহায্য করেছে। বেলজিয়ামের ‘অ্যাডভান্সড মেকানিক্যাল এন্ড অপটিক্যাল সিস্টেম কর্পোরেশন’ (The Advanced Mechanical and Optical Systems Corporation) টেলিস্কোপটি তৈরিতে সাহায্য করেছে। ভারত এটিকে চালনা করবে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?
লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটির ব্যবহার কী?
এই টেলিস্কোপটি আকাশের স্ক্যান করতে, বিভিন্ন নক্ষত্রপুঞ্জ পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা হবে। তাছাড়াও মহাকাশ থেকে ছিটকে পড়া বিভিন্ন ধূমকেতুর দিকে নজর রাখতেও ব্যবহার করা হবে।
সাধারণ টেলিস্কোপ থেকে এটির কী পার্থক্য?
সাধারণ টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশের শুধুমাত্র একটি মহাজাগতিক বস্তুকেই পর্যবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশের অনেকটা জায়গা জুড়ে পর্যবেক্ষণ করা যায়। মহাকাশের একটি জায়গার সমস্ত তারা, নক্ষত্রপুঞ্জ, ধূমকেতু ও বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তুর ওপর নজর রাখা যায়।
+ There are no comments
Add yours