মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত, ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কখনওই তেমন ছিল না। তবে গত কয়েক বছরে এই সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, কঠিন সময় ছিল আড়াই বছর। মঙ্গলবার সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন তিনি। তবে প্রতিবেশীদের যেহেতু মিলেমিশে থাকতেই হয়, তাই চিনের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখা হয়েছে বলেও জানান জয়শঙ্কর। ভারত (India) অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক ও কোয়াড সদস্য হিসেবে সদস্য দেশগুলির সুরক্ষা প্রসঙ্গে শি জিনপিংয়ের দেশের প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, গত আড়াই বছরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ঝরেছে রক্তও। চল্লিশ বছর পর সীমান্তে রক্ত ঝরেছে। আমাদের ২০ জন সৈন্যকে হারাতে হয়েছে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে গত প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরোধ চলছে ভারত-চিনের (India China)। সেই সূত্র ধরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, তার পরেও আমাদের দেশের তরফে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। সংঘর্ষের পরের দিন সকালেও আমি চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইকে ফোন করি। চিনের দিক থেকে আর যেন কোনও সামরিক পদক্ষেপ না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে আবেদনও করি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, কূটনীতি হচ্ছে দুই দেশের কথা চালাচালি। এটা কেবল চিনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, অন্য দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাঁর প্রশ্ন, যদি কূটনীতিকরা পরস্পরের মধ্যে কথাবার্তা না বলেন, তা কী ধরণের কূটনীতি তাঁরা করবেন? তাঁর মতে, দিনের শেষে প্রতিবেশী দেশগুলির মিলেমিশে থাকাই শ্রেয়।
গত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন (India China) সম্পর্ক যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা আগেও একবার বলেছিলেন জয়শঙ্কর। অগাস্টে ব্যাংককে একটি অনুষ্ঠনে যোগ দিতে গিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, ভারত-চিন সম্পর্ক খুবই কঠিন পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষত, বেজিং সীমান্তে যা করেছে, তার পর। তিনি এও বলেছিলেন, যদি দুটি প্রতিবেশী দেশ হাত না মেলায় তাহলে এশিয়ান সেঞ্চুরি হবে না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours