Conjunctivitis: দাপট বাড়াচ্ছে ‘গোলাপি চোখ’! কনজাঙ্কটিভাইটিস রুখতে কী করবেন? 

চোখ লাল হয়ে চুলকাচ্ছে? কনজাঙ্কটিভাইটিস নয় তো?
Conjunctivitis
Conjunctivitis

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

বর্ষার মরশুমে বাড়ছে ভোগান্তির তালিকা। একে সর্দি-কাশিতে নাজেহাল অনেকেই। বিশেষত শিশু আর বয়স্কদের বাড়ছে ভোগান্তি। আর তার সঙ্গে বাড়ছে আরেক সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় বাড়ছে কনজাঙ্কটিভাইটিস। যার আরেক নাম 'পিঙ্ক আই'!

কনজাঙ্কটিভাইটিস কী? 

কনজাঙ্কটিভাইটিস হল চোখে এক ধরনের অ্যালার্জি। ভাইরাসঘটিত এই অ্যালার্জি মূলত চোখের সাদা অংশে হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই রোগ খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়। আক্রান্তের চোখের দিকে তাকালেও আরেক জন এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি বছর ১০ মিলিয়নের বেশি ভারতীয় কনজাঙ্কটিভাইটিসে আক্রান্ত হন।

কাদের ভোগান্তির ঝুঁকি বেশি? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডা লাগলেই এই কনজাঙ্কটিভাইটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই যাঁরা সর্দি-কাশিতে বেশি ভোগেন, তাঁদের এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া, শিশুদের ভোগান্তির ঝুঁকি বেশি। স্কুল থেকে বহু শিশুই এই রোগে সংক্রমিত হয়। পরিবারের যে কোনও একজনের এই রোগ হলে, বাকি সদস্যদের হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে সংক্রমণের ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই দরকার বাড়তি সতর্কতা।

কনজাঙ্কটিভাইটিসের উপসর্গ কী? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখে এক ধরনের চুলকানি হয়। দেখতেও অসুবিধা হয়। ঘুম থেকে উঠে চোখ ফুলে যায়। চোখ খুলতে অসুবিধা হয়। বারবার চোখে অস্বস্তি বোধ হলে, চুলকানি অনুভব হলে এবং চোখ লাল হলেই সতর্ক হতে হবে।

কনজাঙ্কটিভাইটিস রুখতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

চিকিৎসকদের পরামর্শ, কনজাঙ্কটিভাইটিসের প্রথম উপসর্গ থেকেই সতর্ক হলে ভোগান্তি কম হবে। পাশপাশি পরিবারের অন্যদের মধ্যেও রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। চোখে সামান্য লাল ভাব কিংবা চোখে চুলকানি হলে একেবারেই চোখে হাত দেওয়া যাবে না। বারবার হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ, হাতের মধ্যেই এই জীবাণু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া, চোখ বারবার জল দিয়ে ধুতে হবে। পরিষ্কার জলে বারবার চোখ ধুয়ে ফেললে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। প্রয়োজনে গরম জলে পরিষ্কার তুলো ভিজিয়ে চোখের পাতা পরিষ্কার করতে হবে। এতে দেখার সমস্যা কমে, আবার সংক্রমণের তীব্রতাও কমে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, এই রোগে আক্রান্ত হলে আলাদা ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যাতে এই রোগ পরিবারের অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত না হয়, তাই কালো চশমা পরে থাকারও পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles