মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানাঘাট (Nadia) সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে নদিয়ার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে রোগী ভর্তির জায়গা পর্যন্ত নেই। যে সমস্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছেন, তাঁদের নব্বই শতাংশই জ্বরের রোগী অথবা ডেঙ্গি আক্রান্ত। একই বেডে থাকতে হচ্ছে দু থেকে তিনজনকে, থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের করিডরে অথবা মেঝেতেও। অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে। এমনটাই দাবি রোগী পরিবারগুলির। অপর দিকে বিজেপির অভিযোগ পুরসভার দিকে। সবটা মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের।
পুরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল বিজেপির (Nadia)
বর্তমানে রানাঘাটে (Nadia) ডেঙ্গির ভয়াবহতা নিয়ে রানাঘাট পুরসভার দিকে আঙুল তুলছেন রানাঘাট পৌরসভার বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলার কামনাশিষ চ্যাটার্জি। তাঁর বক্তব্য, প্রথম থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে একাধিকবার রানাঘাট পৌরসভায় চিঠি করেছিলাম, কিন্তু পুরসভা কোনও গুরুত্ব দেয়নি। আগে থেকে কোনও রকম সচেতনতার প্রচার পুরসভা করেনি। পুরসভার প্রধানকে বারবার কীটনাশক তেলের ব্যবস্থা করে এলাকায় দেওয়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু কোনও উদ্যোগের চিত্র নজরে আসেনি। চোর পালালে বুদ্ধি আসে! আর তাই ডেঙ্গি যখন মারাত্মক তখন পুরসভার জ্ঞান ফিরেছে। তিনি আরও বলেন, আগে থেকে যদি ডেঙ্গি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিত পুরসভা, তাহলে আজকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাটা এতো বাড়তো না।
পুরসভার বক্তব্য
বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলারের তোলা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে রানাঘাট (Nadia) পুরসভার পুরপ্রধান কৌশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা ঠিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বিজেপি কাউন্সিলারের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, প্রথম থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধের সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে করা হচ্ছে সার্ভে, এছাড়াও ড্রেন থেকে শুরু করে জলাশয়ের জায়গাগুলিতে দেওয়া হয়েছে কীটনাশক তেল। কলকাতা থেকে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা এসে করছেন পর্যবেক্ষণ।
তবে ডেঙ্গি সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সাথে যোগাযোগ করলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours