মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ দিনের মাথায় উত্তরকাশীর সিল্কিয়ার সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর ছেলের কথা শুনে উৎকণ্ঠা কাটল মায়ের। অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে পরিবার। হুগলির (Hooghly) বাসিন্দা সৌরভ পাখিরা এবং জয়দেব আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ছিলেন। গতকাল উদ্ধার হওয়ার পর সৌভিকের সঙ্গে মায়ের কথা হয়। মা আবেগপ্রবণ হয়ে ফোনে জিজ্ঞেস করলেন, “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো”? পাশাপাশি বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের প্রতিবেশীরা। এলাকায় খুশির আবহ।
কী বললেন মা (Hooghly)?
৪১ জন ভারতীয়ের সুড়ঙ্গে আটকে থাকার খবরে নজর ছিল গোটা দেশের মানুষের। কেন্দ্র সরকার এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিক সংস্থা যৌথভাবে অপারেশন চালিয়ে উদ্ধারকাজকে সম্পূর্ণরূপ দিয়েছে। তবে উদ্ধারের কাজ খুব একটা সহজ ছিল না। এরপর হুগলির (Hooghly) হরিণখোলার মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস নেমে এলো। সৌভিকের সঙ্গে মা ফোনে কথা বলে জানান, “সুড়ঙ্গ থেকে সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে। জয়দেব এবং সৌভিক একসঙ্গেই রয়েছে, দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়দেব এবং সৌভিকের মঙ্গলকামনায় এলাকার মানুষ বাবা তারকনাথের কাছে পুজো দিয়েছেন। তবে এখনও উদ্বেগ পুরোপুরি কাটেনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই পুরো ভয় কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উদ্ধার কাজে ছিল টানটান উত্তেজনা
গত ১৭ দিন থেকেই সুড়ঙ্গে আটকে থাকার বিষয় নিয়ে উদ্বেগের একটা কারণ কাজ করছিল। আটকে থাকা হুগলির (Hooghly) শ্রমিকদের পরিবারের মানুষদের মধ্যে ছিল তীব্র আতঙ্কের ছায়া। উদ্ধার কাজেও ছিল ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা। সন্ধ্যা আটটার সময় প্রথম শ্রমিক উদ্ধারের খবর টিভির পর্দায় দেখা যায়। প্রথম উদ্ধার হন বিজয় হেরো এবং গণপতি হেরো। এরপর থেকেই সারা দেশের মানুষের মধ্যে আশার আলো সঞ্চার হয়। সময় ক্রমশ বৃদ্ধি পেলে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। মাত্র ত্রিশ মিনিটে উদ্ধার হন ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধারের পরেই সকল শ্রমিককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বাস্থ্যের সম্পর্কে খোঁজখবরও নেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours