মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু মুহূর্তের অসতর্কতায় মারাত্মক বিপদের সম্মুখীন হতে হল পশ্চিম মেদিনীপুরের এক মেধাবী ছাত্রকে। কয়েকদিন আগেই, তিনি গুগলে একটি নজরকাড়া বেতনের চাকরি পেয়েছেন যার বার্ষিক বেতন প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা। কিন্তু অসাবধানতার কারণে অত্যন্ত জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। অপেক্ষা না করেই চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে পড়লেন এই যুবক। আর তাতেই ঘটে গেল মারাত্মক ঘটনা। পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত পেয়েছেন তিনি। এমনকি তার এক পা হারাতেও বসেছেন তিনি। এই ঘটনার পর তাঁকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে গতকাল দুপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খড়গপুর আইআইটি-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র অরিত্র সেন। তিনি গতকাল চলন্ত হাওড়া-ঘাটশিলা ট্রেন থেকে নামার সময় খড়্গপুর স্টেশনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দ্রুতগামী ট্রেন থেকে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ও পায়ের গোঁড়ালিতে প্রচন্ড জোরে ধাক্কা খায় অরিত্র। এরপরেই প্ল্যাটফর্মে পড়ে গিয়ে যন্ত্রায় কাতরাতে থাকে ও দুর্ঘটনাটি নজরে আসতেই খড়্গপুর স্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
আরও পড়ুন: এবার কি সুকন্যা? শুক্রবার সকালে বোলপুরে অনুব্রতের বাড়িতে সিবিআই
এরপরেই আহত ছাত্রকে রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতির জটিলতা বুঝতে পেরে আইআইটি কর্তৃপক্ষ তাঁর চিকিৎসার জন্য আইআইটি বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। তবে তাঁর পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, অরিত্রর পা কেটে ফেলতে হতে পারে। ফলে পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।
দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে খড়্গপুর আইআইটি রেজিস্ট্রার তমাল নাথ জানান, খড়্গপুর স্টেশনে আইআইটির এক ছাত্র দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় ও দুর্ঘটনায় তাঁর পায়ে আঘাত লাগে। প্রথমে আইআইটি হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, খড়্গপুর আইআইটির ছাত্র অরিত্র সেন কিছুদিন আগেই ক্যাম্পাসিংয়ে গুগলে বছরে ১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকার চাকরি পেয়েছেন। আর কয়েকদিন পরেই তাঁর চাকরীতে জয়েন করারও কথা ছিল। কিন্তু তাঁর এই গাফিলতি ও ক্ষণিকের ভুলের জন্যে এই পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক বছরে রাজ্যের এক জেলাতেই আত্মঘাতী ১২২ কৃষক! বলছে আরটিআই রিপোর্ট
+ There are no comments
Add yours