মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিতে গিয়ে সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) জানিয়েছে, একজন বিবাহিত পুরুষ অপর মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে থাকলে তাকে কখনও লিভ-ইন বলা যাবে না এবং ওই মহিলাকে উপপত্নী হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কগুলির বৈশিষ্ট্য, বিবাহের যে বৈশিষ্ট্য তার সঙ্গে মেলে না। তা একমাত্র মেলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে। এই ধরনের সম্পর্ক হল পুরুষ ও তার উপপত্নীর সম্পর্ক। সম্প্রতি এই রায় দিয়েছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি আরএমটি টীকা রমন।
মামলাটি হল ২০১৬ সালের
জানা গিয়েছে মামলাটি হল ২০১৬ সালের। মামলার একপক্ষ হলেন জয়চন্দ্রন। জয়চন্দ্রনের বিবাহ হয় স্টেলা নামের একজন মহিলার সঙ্গে। দম্পতির ৫টি সন্তানও রয়েছে। পরবর্তীকালে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জয়াচন্দ্রন প্রবেশ করেন। জনৈকা মার্গারেট আরুলমোঝির সঙ্গে জয়চন্দ্রন লিভ-ইন শুরু করেন। মার্গারেট ছিলেন ছিলেন মামলাকারী (Madras High Court) ইসুরান্থিনামের কন্যা। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকাকালীন ২০১০ সালে জয়চন্দ্রন তাঁর সম্পত্তির বড় অংশ প্রদান করেন মার্গারেটকে। একটি ডিড তৈরি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে মার্গারেটই হল তার পত্নী। পরবর্তীকালে দেখা যায় মার্গারেটের মৃত্যু হয় ২০১৩ সালে। মৃত্যুর পরে তাঁর পিতা ইসুরান্থিনাম একটি মামলা দায়ের করেন এবং সেখানে ঘোষণা করেন যে সম্পত্তির উপর তাঁর কন্যারই অধিকার। ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী ওই সম্পত্তি তাঁর কন্যা পেয়েছেন বলে দাবি করেন মার্গারেটের বাবা।
লিভ-ইন-সম্পর্ককে কখনও বিবাহের মতো সম্পর্কে আনা যায় না
যদিও এখানে মাদ্রাজ হাইকোর্ট স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, জয়চন্দ্রনের সঙ্গে স্টেলার বিবাহ একমাত্র বৈধ এবং মার্গারেটের সঙ্গে সম্পর্ক কখনও বৈধ নয়। তাকে লিভ-ইনও বলা যায় না। এদিন মামলার রায় প্রদানের সময় মাদ্রাজ হাইকোর্ট উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী একটি মামলার (Madras High Court) রায়েরও। যেখানে বলা হয়েছিল যে সমস্ত লিভ-ইন সম্পর্ককে কখনও বিবাহের মতো সম্পর্কে আনা যায় না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours