মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের (ICICI Bank) প্রাক্তন সিইও (CEO) ছন্দা কোছার (Chanda Kochhar)। তাঁর স্বামী দীপক কোছারকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। দীপককে অবশ্য আগেই গ্রেফতার করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিইও থাকার সময় ভিডিওকন গোষ্ঠীকে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ছন্দার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, বেণুগোপাল ধুতের ভিডিওকন গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ইস্তফা দেন ছন্দা। সেই সঙ্গে ছিন্ন হয় বেসরকারি ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে ছন্দার তিন দশকেরও বেশি সময়ের যোগ।
সিবিআই দফতরে...
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় ছন্দা ও তাঁর স্বামী দীপককে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় স্বামী-স্ত্রীকে। যদিও ভিডিওকনকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছন্দা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দাবি, ২০১২ সালে ভিডিওকন গোষ্ঠীকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দিতে বেসরকারি ওই ব্যাঙ্কের (ICICI Bank) নিয়ম ভেঙেছিলেন ছন্দা। অভিযোগ, এতে আদতে লাভবান হয়েছিলেন তাঁর স্বামী দীপক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যদিও পরে ওই ঋণ আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়। এই মামলায় ছন্দার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার এফআইআরের ভিত্তিতে ছন্দা, দীপক এবং বেণুগোপালের বিরুদ্ধে কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
আরও পড়ুন: পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের, ফের আমাদের হওয়া উচিত, দাবি আরএসএস নেতার
অভিযোগ, ভিডিওকনকে ওই ঋণ পাইয়ে দিয়ে ঘুরপথে সংস্থার কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছিলেন ছন্দা। অপব্যবহার করেছিলেন তাঁর পদের। ভিডিওকন গোষ্ঠীকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক (ICICI Bank) ওই বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়ার কয়েক মাস পরেই সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বেণুগোপাল নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলস নামে এক সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এই সংস্থাটির মালিক ছন্দার স্বামী দীপক।
আরও পড়ুন: মমতাকে প্রাক্তন করার দায়িত্ব তাঁর! রানাঘাটের সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours