মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা সাধারণত ছাত্রছাত্রীদের মার্কশিট দেখেই তারা জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে মতামত দিয়ে থাকি। কিন্তু মার্কশিট যে জীবনে উত্তরণের ক্ষেত্রে সবকিছু নয়, সেটি অনেকে মনে করতেই চায়না। তাই জীবনের সাফল্যের পথে রেজাল্টের ভুমিকা যে ঠিক কতখানি তা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলতেই থাকে। কিন্তু আবার অনেকেই মনে করেন কোন ছাত্রের মার্কশিট তার জীবনের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নির্ধারণ করতে পারে না। আর এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা ভারতবর্ষের মানুষ।
নম্বর বেশি না পেয়েও যে জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায় সেই অনুপ্রেরণাই দিয়েছেন ভারতের এই তরুণ আইএএস অফিসার। এই তরুণ আইএএস অফিসারের নাম অবনিশ শরণ (Awanish Sharan)। তিনি সম্প্রতি তার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে তাঁর দশম শ্রেণীর মার্কশিট শেয়ার করেছেন। আর শেয়ার করতেই ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। এই রেজাল্ট শেয়ার করার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এক অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
[tw]
My 10th Marksheet. pic.twitter.com/jmYkMohzWf
— Awanish Sharan (@AwanishSharan) July 6, 2022
[/tw]
তিনি ২০০৯ ব্যাচের IAS। ছত্তিশগড় ক্যাডারের অফিসার তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি দশম শ্রেণিতে পাশ করেছিলেন। বিহার স্কুল এক্সামিনেশন বোর্ডের (Bihar School Examination Board) পরীক্ষার সেই রেজাল্ট শেয়ার করেছেন তিনি। টেনেটুনে পাশ করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে ৭০০র মধ্যে ৩১৪ পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ তিনি সেই সময় ৪৪.৮৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। তিনি দশম শ্রেণিতে অঙ্কে পেয়েছিলেন ১০০তে ৩১, ইতিহাসে পঞ্চাশে ২৪, ভূগোলে ৫০এর মধ্যে পেয়েছিলেন ১৯, ইংরাজিতে ৩৫, এবং বিজ্ঞানে ৩৮। কিন্তু সেই ছাত্রই এখন আইএএস। এই রেজাল্ট ট্যুইটারে শেয়ার করার পরেই কিছুসময়ের মধ্যেই ৩১ হাজারের বেশি লাইক এসেছে।
নেটিজেনদের কেউ বলেছেন, “স্যার আপনি বিশ্বাস করবেন না যে আপনি আমাকে কতটা অনুপ্রাণিত করেছেন, কাকতালীয়ভাবে, আমিও আমার দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৩১৪ পেয়ে এবং ৩য় বিভাগে পাশ করি কিন্তু আমি এই ভেবে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিলাম যে আমি হয়ত জীবনে সেভাবে কিছুই করতে পারব না, আজ আপনি আমার ধারণা বদলে দিলেন”। অন্য একজন লিখেছেন, “এটি সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি দুর্দান্ত অনুপ্রেরণা যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে”।
এর আগেও একজন অন্য আইএএস অফিসার তুষার সুমেরার (Tushar Sumera) মার্কশিট শেয়ার করে অবনিশ শরণ লিখেছিলেন, ইংরাজিতে ৩৫, অঙ্কে ৩৬ ও বিজ্ঞানে ৩৮ পেয়েছিলেন তিনি। সবাই বলতেন তিনি জীবনে কিছুই করতে পারবেন না, কিন্তু তিনিই আজ আইএএস অফিসার।
+ There are no comments
Add yours