Protein Powder: কতখানি বাড়তি প্রোটিন জরুরি? কৃত্রিম প্রোটিন শরীরের জন্য কি ক্ষতিকর?

নিয়মিত প্যাকেটজাত প্রোটিন পাউডার খাচ্ছেন? বাড়তি বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
Protein_Powder
Protein_Powder

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে জলখাবারের পরে বা অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যায় প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) খাওয়া এখন রেওয়াজ! প্রোটিন সেক বা বিভিন্ন ধরনের খাবারে কৃত্রিম প্যাকেটজাত প্রোটিন পাউডার ব্যবহার অনেকেই করেন। আর তাতেই বাড়ছে বিপদ! বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন বিশেষত কৃত্রিম প্রোটিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তৈরি করতে পারে বাড়তি বিপদ।

কেন প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) থেকে বিপদ হতে পারে? 

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যাঁরা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন, খেলাধুলো করেন কিংবা জিমে যান, তাঁদের অতিরিক্ত ঘাম হয়। ক্যালরি খরচ হয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে, কাজ করার শক্তি জোগাতে প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। প্রোটিন শরীরে এনার্জি জোগান দেয়। বিশেষত, যাঁরা পেশি শক্তির ব্যবহার বেশি করেন, তাঁদের জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। যেমন জিমে গিয়ে ভারী জিনিস তোলা কিংবা নিয়মিত ফুটবল, ভলিবলের মতো দৈহিক পরিশ্রম হয়, এমন খেলাধুলা যাঁরা করেন, তাঁদের শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিন জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র খাবারের মাধ্যমে প্রোটিন পর্যাপ্ত হয় না। তখন তাঁদের জন্য প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) দরকার হয়। কিন্তু যাঁদের পেশি শক্তির ব্যবহার বিশেষ হয় না, তাঁদের জন্য এই পাউডার অপ্রয়োজনীয়। অতিরিক্ত প্রোটিন পাউডার দেহে সমস্যা তৈরি করে।

কী ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত প্রোটিন (Protein Powder) দেহের ওজন বাড়াতে পারে। তৈরি করে কোলেস্টেরল। যার জেরে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়াও হতে পারে স্থূলতার সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাও তৈরি হয়। পাশপাশি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত প্রোটিন লিভার, কিডনি ও হৃদপিণ্ডের নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ, যাঁরা দৈহিক পরিশ্রম বিশেষত পেশি শক্তির বিশেষ ব্যবহার করছেন না, অথচ অতিরিক্ত প্রোটিন খাচ্ছেন, তাঁদের হজম শক্তির সমস্যা হতে পারে। ফলে, পাকস্থলিতে সমস্যা, কিডনি স্টোন বা কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা হতে পারে।

প্রোটিনের প্রয়োজন কতখানি? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দেহের ওজন অনুযায়ী প্রোটিনের প্রয়োজন নির্ধারিত হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, কোনও ব্যক্তির দেহের ওজন যদি ৮০ কেজি হয়, তখন তাঁর নিয়মিত ৮০ গ্রাম প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করাই যথেষ্ট। কিন্তু সেই ব্যক্তির যদি অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে, যেমন, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস কিংবা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো, তাঁকে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, দেহের স্বাভাবিক চাহিদা পূরণ করতে খাবারের মাধ্যমে প্রোটিন পর্যাপ্ত হয়। মাছ, মাংস, ডিম, সোয়াবিন, দুধ, দই কিংবা পনির জাতীয় খাবারে যে ধরনের প্রোটিন থাকে, সেটাই নিয়মিত খেলে শরীরে প্রোটিনের পর্যাপ্ত চাহিদা পূরণ হয়। তবে, অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে, বিশেষত অতিরিক্ত দৈহিক পরিশ্রম করলে বাড়তে পারে প্রোটিনের চাহিদা। তবে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া প্যাকেটজাত প্রোটিন পাউডার (Protein Powder) না খাওয়ার পক্ষে অধিকাংশ পুষ্টিবিদ।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles