মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে (Bangladesh) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় জামাতে ইসলামি ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে। জামাত নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে নতুন করে শুরু হয় সংঘর্ষ, দিকে দিকে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। রবিবারই বাংলাদেশে নিহত হন ১০০ জন। আন্দোলনের নামে যে হিংসা চলছে বাংলাদেশে, সেখানে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের (Hindus Under Attack)। সরকারি সূত্রে খবর মিলেছে, আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ এখন জামাতের হাতে চলে গিয়েছে বলে দিল্লিকে জানিয়েছে ঢাকা। জামাতের ছাত্র সংগঠনের পিছনে ঢাকার পাকিস্তানি হাইকমিশনের মদত রয়েছে বলেও জানিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।
আক্রান্ত হিন্দু, ছায়া দেখা যাচ্ছে দেশভাগ ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার (Bangladesh)
বাংলাদেশের এই হিংসায় দেশভাগ ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ছায়া ফুটে উঠেছে। ফের যেন বাংলাদেশে ফিরে এসেছে রাজাকাররা। আন্দোলনের নামে আক্রমণ চালানো হয়েছে ইস্কনের মন্দির, কালী মন্দির সমেত হিন্দুদের একাধিক ধর্মস্থানে (Hindus Under Attack)। বাদ যাচ্ছে না হিন্দুদের ঘরবাড়িও। নিষিদ্ধ হওয়ার পরই মুখোশ খুলে বেরিয়ে আসছে এই জঙ্গি সংগঠনের। পরিকল্পিতভাবে ব্যাপকহারে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশে (Bangladesh) সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করে দেশকে অশান্ত করতে চাইছে তারা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দু নিধন করে সরকারকে চাপ দিতে চাইছে জামাত। এর পাশাপাশি, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুর দেশ ভারতকেও উস্কানি দিতে চাইছে তারা।
রংপুরের একজন হিন্দু কাউন্সিলরকে হত্যা করা হয়
রবিবার বাংলাদেশে (Bangladesh) যে হিংসা ছড়ায় সেখানে রংপুরের একজন হিন্দু কাউন্সিলরকে হত্যা করা হয়। জানা গিয়েছে, নিহত ওই কাউন্সিলরের নাম কাজল রায়। এরপর রবিবার সন্ধ্যা ছ'টা থেকেই কার্ফু জারি করা হয়েছে এবং তা আপাতত চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সরকার (Hindus Under Attack)। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক হয়েছে যে রবিবার থেকেই ব্যাঙ্ক সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠান তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল, জল, গ্যাস, বিদ্যুতের মতো জরুরি পরিষেবাগুলি চালু থাকছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে, দুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে ।
হিংসাত্মক আন্দোলন সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়েছে
সে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক নাজমুল আহসান বলছেন, ‘‘ক্রমশই আন্দোলন হিংসাত্মক ও সাম্প্রদায়িক (Hindus Under Attack) রূপ নিয়েছে এবং এগুলি বেশিরভাগই ছড়ানো হচ্ছে সমাজ মাধ্যমের পাতা থেকে। এ কারণে সোশ্যাল মিডিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’’ হিংসা এতটাই বেড়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় শেখ সোহেলের বাড়িতেও বিক্ষোভকারীরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ হিংসা । রাজবাড়ি জেলায় ভাঙচুর করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি।
মদত দিচ্ছে চিন?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ‘‘এমন সহিংস আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যত নজিরবিহীন, আগে কখনও দেখা যায়নি। সরকার ফেলার জন্য এভাবেই বাংলাদেশকে (Bangladesh) অস্থির করতে চাইছে উপমহাদেশের বাইরে কোনও বড় শক্তি।’’ বোঝাই যাচ্ছে, উপমহাদেশের বাইরে এই শক্তি হল চিন। হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা আজ চিনের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই যে কোনও মূল্যে হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে ভারত বিরোধী জামাতকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে চায় চিন। অর্থাৎ পাকিস্তান ও চিন বাইরে থেকে কলকাঠি নাড়ছে, ভিতরে তাদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে জামাত। উদ্দেশ্য একটাই, বাংলাদেশে ভারত বিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠা (Hindus Under Attack)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours