Gorkhaland: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

দিল্লিতে সেমিনারের পর দুদিন ধরে কালিম্পংয়ের ১০ মাইলে মারোয়ারী ভবনে পৃথক রাজ্যের উপর আলোচনা সভা ডেকেছিলেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা।
Gorkhaland
Gorkhaland

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'পাহাড় হাসছে'। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্লোগান অনেকের মনকেই ভরিয়েছিল৷ আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু পাহাড় কী সত্যিই হাসছে? মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শাসনকালে বার বার রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করেছে পাহাড়। বার বার রক্তাক্ত হয়েছে শৈলরানি দার্জিলিং। আবার ঘনিয়েছে অশান্তির কালো মেঘ। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছে দার্জিলিং- এর একাংশ। একদিকে, জিটিএ'র ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে জিটিএ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং৷ অন্যদিকে, পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি নামে কমিটিকে সামনে রেখে রীতিমতো পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে প্রচারে নামতে চলেছেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। শুধু পাহাড়ই নয়, পাহাড়-সহ তরাই, ডুয়ার্স এমনকি সমতলের কিছু অংশেও ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তা নিয়ে সমগ্র পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স ও সমতলে প্রচার - আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর এতেই অশনি সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হবে দার্জিলিং? এখন সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে।  

কী জানা গেল?  

দিল্লিতে সেমিনারের পর দুদিন ধরে কালিম্পংয়ের ১০ মাইলে মারোয়ারী ভবনে পৃথক রাজ্যের উপর আলোচনা সভা ডেকেছিলেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি ছাড়াও পাহাড়ের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই সভায় যোগদান করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই সভাতেই বিমল গুরুং ঘোষণা করেছেন জিটিএ চুক্তি থেকে নিজেকে এবং গোর্খা (Gorkhaland) জনমুক্তি মোর্চাকে সরিয়ে আনবেন। বাতিল করবেন জিটিএ চুক্তি। আর বিমল গুরুংয়ের এই সিদ্ধান্তে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও। এই সভাতে সিদ্ধান্ত হয় ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামবে দলগুলি। আর সেই দাবি জানিয়েই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের জিটিএ চুক্তি বাতিলের জন্য চিঠি পাঠাবেন বিমল গুরুং।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় অংশ নিতে চায় ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থী!  

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে পাহাড়কে শান্ত করতে জিটিএ চুক্তি (Gorkhaland) করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সেই সময় বিমলের সঙ্গে একপ্রকার সমঝোতার রাস্তায় গিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অধীনেই জিটিএ চুক্তিতে সায় দিয়েছিল কেন্দ্র। ফলে কেন্দ্র, রাজ্যর সহমতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করা হয়। এরপর থেকে পাহাড়ের দায়িত্বে ছিলেন বিমলই। কিন্তু পৃথক রাজ্যর দাবিতে ফের বিমল গুরুং সক্রিয় হতেই বদলে যায় সমীকরণ। ২০১৭ সালের আন্দোলনের পর বিমলের হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে পাহাড়ের রাশ অনিত থাপার হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। আর এরপরেই জিটিএ চুক্তিকে হাতিয়ার করেন বিমল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে যদি একপক্ষ অর্থাৎ বিমল গুরুং নিজেকে প্রত্যাহার করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। নতুন করে চুক্তি করতেও হতে পারে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে পারে রাজ্য সরকার।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles