Madrasa: হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় প্রথম পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে, পরিবারে উচ্চ শিক্ষায় দুশ্চিন্তা

আসিফের বাবা বললেন, ছেলে ভালো ফল করে কি হবে ? আমি যদি পড়াতে না পারি!
Madrasa
Madrasa

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজনের বাবা দিনমজুর অন্যজনের বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা ব্লকের ভাবতার বাসিন্দা আসিফ ইকবাল ও রানীনগরের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন মোল্লা, এরাই এবার পশ্চিমবঙ্গ হাই মাদ্রাসা (Madrasa)পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয়। আসিফের প্রাপ্ত নম্বর ৭৮০, নাসির উদ্দিনের প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৫। দুজনেই বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চান। নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে সন্তানদের ভালো ফলে দুশ্চিন্তায় পরিবার, উচ্চশিক্ষায় পাশে দাঁড়াক সরকার, আবেদন উভয় পরিবারের।

প্রথম হওয়ায় মাদ্রসার (Madrasa) প্রতিক্রিয়া

ভাবতা আজিজা হাই মাদ্রাসা স্কুলের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক শিক্ষক মিরাজ শেখ বলেন, এই স্কুলে বিগত কয়েক দশক ধরে প্রথম স্থানে অধিকারী হিসাবে আমরা কাউকে পাইনি। যদিও বিভিন্ন সময় আমাদের স্কুলের ছাত্ররা কখনও চতুর্থ কখনও পঞ্চম স্থানাধিকারীদের মধ্যে ছিল। এই বছর আমাদের খুব আশা ছিল, এই বছর স্কুলে কিছু একটা ফল হবে। আসিফ সবসময় ক্লাসে প্রথম হত। আসিফের ফলাফল আমাদের কাছে ভীষণ প্রত্যাশিত। স্কুলের বিশেষ ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনা করত আসিফ। ছাত্র সুলভ আচরণে খুব অনুগত ছিল সে। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকেও আসিফকে বিশেষ অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

আসিফের পরিবারের প্রতিক্রিয়া

আসিফের বাবা ইয়ামিন শেখের আশঙ্কা "ছেলে ভালো ফল করে কি হবে, আমি যদি পড়াতে না পারি!" রাজ্যে প্রথম হয়ে বিতর্কে পটু বাগ্মী আসিফের ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া "লড়াইটা সবে শুরু, এখন অনেক পথ বাকি। আশা করি সবাই পাশে থাকবে।" আসিফের বাবা আরও জানান, এতদিন দেনা করে পড়াশুনার খরচ যুগিয়েছি। কলকাতায় সাইকেলে করে ভাঙ্গারির ব্যবাসা করি। অর্থের একটা সঙ্কট রয়েছেই। তবে স্কুলের শিক্ষকেরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শিক্ষকদের (Madrasa) জন্যই আজ ওর এই সাফল্য এসেছে। আগামী দিনে ওর পড়াশুনার জন্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করব। 

নাসিরের মাদ্রাসার (Madrasa) শিক্ষকের আবেদন

কোমনগর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এতটা অভাবের মধ্যে থেকেও পড়াশোনা করার অদম্য জেদ কিভাবে সাফল্য এনে দেয়, সেটা নাসিরের মধ্যে চাক্ষুষ করলাম। আমরা তো আছি, সরকারও ওর উচ্চ শিক্ষায় পাশে দাঁড়াক, এটুকুই আবেদন। আগামী দিনে সরকারী সহায়তা কতটা আসে, সেটাই এখন দেখার।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles